ভাগীরথীর জল নামতে থাকায় স্বস্তি জনপদে

ঝুলনে বুক বেঁধেছে মায়াপুর

স্বরূপগঞ্জ এলাকায় ভাগীরথী তার ভয়াল চেহারা অনেকটাই হারিয়ে ফেলেছে। জলস্তর ৮.৫৯ মিটার পর্যন্ত উঠে গিয়েছিল। তা এখন কমে ৮.৪৪। ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন ব্যারাজ থেকে নতুন করে জল না ছাড়লে, জলস্তর বাড়ার আর তেমন সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করছেন সেচ কর্তারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কৃষ্ণনগর ও কান্দি শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০১৭ ০২:৩৩
Share:

সরছে জলঙ্গি। কৃষ্ণনগরের কদমতলা ঘাটে। ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য

জল নামার স্বস্তিতে মায়াপুর জুড়ে ঝুলন উৎসবের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। প্যাচপ্যাচে কাদা মাড়িয়ে বাজারে ভিড়, অপরিসর রাস্তায় সেজে ওঠা দোকান— যেন এক নিশ্চিৎ আঘাত থেকে বেঁচে গিয়েছে মঠ-মন্দিরের জনপদ।

Advertisement

মায়াপুর হোটেল মালিক সমিতির সম্পাদক প্রদীপ দেবনাথের গলায় স্বস্তি, “আমরা নিশ্চিন্ত। ভেবে ছিলাম এ বার বন্যায় বুঝি ঝুলন ভেসে যাবে!’’ তবে, বাজার-দোকানে আসা ভিড়টা দূর থেকে গঙ্গার জল মাপতেও ছাড়ছেন না— ‘দেখ দেখ জল এসেছিল এত দূর।’ রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে আলোচনার বিরাম নেই।

স্বরূপগঞ্জ এলাকায় ভাগীরথী তার ভয়াল চেহারা অনেকটাই হারিয়ে ফেলেছে। জলস্তর ৮.৫৯ মিটার পর্যন্ত উঠে গিয়েছিল। তা এখন কমে ৮.৪৪। ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন ব্যারাজ থেকে নতুন করে জল না ছাড়লে, জলস্তর বাড়ার আর তেমন সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করছেন সেচ কর্তারা।

Advertisement

মুর্শিদাবাদের কুঁয়ে নদীর জলও ধীরে ধীরে নেমে গিয়েছে। ফলে বড়ঞা ও ভরতপুর ২ নম্বর ব্লকের বাসিন্দাদের সন্ত্রস্ত ভাব অনেকটা কমেছে। তবে, সুন্দরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জাওহাড়ি ও ভড়ঞা এখনও রয়ে গিয়েছে আগের অবস্থাতেই। চলাচল এখনও তাঁদের নৌকাতেই। পাশের গ্রাম সুকধানপুরও জলবন্দি। গ্রামের জলবন্দি ১৬টি পরিবারকে স্থানীয় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ত্রাণশিবিরে আনা হয়েছে। ঘরে ফিরতে পারেননি তাঁরা। ভরতপুর ১নম্বর ব্লকের গড্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের কাশীপুর, বালিচুনা, চাঁদপুর ও কোল্লা গ্রাম থেকে জল অবশ্য অনেকটা নেমে গিয়েছে।

জল নামলেও অবশ্য আন্ত্রিকের ভ্রূকুটি যায়নি। জেলা প্রশাসন সে কথা মাথায় রেখে ওই গ্রামগুলিতে চিকিৎসক দল পাঠানোর তোড়জোড় শুরু করেছে। ভরতপুরের বিডিও অঞ্জন চৌধুরী বলেছেন, “সুকধানপুর ছাড়া বাকি চারটি গ্রাম থেকে কুঁয়ে নদীর জল নেমে গিয়েছে। বাসিন্দারা এখন আর জলবন্দি অবস্থায় নেই। জল নেমে যাওয়ার পর এলাকায় যাতে আন্ত্রিক যাতে না ছড়ায় তার জন্য চুন ও ব্লিচিং ছড়ানো হচ্ছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন