বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরির বিরুদ্ধে এ বার কে? চর্চা এ বার ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে।
পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী তোপ দেগেছেন, বহরমপুরের আসন এ বার দখল করবে শাসক দল। কথাটা যে ফেলে দেওয়ার মতো নয়, মুর্শিদাবাদের দলীয় পর্যবেক্ষক হওয়ার পর থেকে কংগ্রেসে ভাঙন ধরিয়ে তার প্রমাণ রেখেছেন তিনি।
একে একে, জেলাপরিষদ, সব ক’টি পুরসভা, পঞ্চায়েত সমিতি ও ২৫০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে প্রায় ২৪৫টিই দখল করাই নয়, ২২ জনের মধ্যে ১২ জন বিধায়ককেই তৃণমূলে টেনে তার প্রমাণ রেখেছেন তিনি।
এ বার?
অধীরের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য প্রার্থী নিয়ে জল্পনা তাই তুঙ্গে। জল্পনার শীর্ষে আছেন একদা অধীর চৌধুরীর ‘ডান হাত’, কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকার। অতি সম্প্রতি তাঁকে বহরমপুর পুরসভার অন্যতম প্রশাসকের পদে বসানোর নেপথ্যে রয়েছে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের হিসাব।
দলের অন্দরের খবর, ওই পদে অপূর্বর পাশাপাশি আরও দু’জন দাবিদার রয়েছেন। সুব্রত সাহা এবং কংগ্রেসের প্রাক্তন জেলা সভাপতি, সম্প্রতি দলত্যাগ করে তৃণমূলে যোগ দেওয়া নওদার বিধায়ক আবু তাহের খান। তালিকায় রয়েছে দলের প্রাক্তন জেলা পর্যবেক্ষক ইন্দ্রনীল সেনের নামও।
সুব্রত বলছেন, ‘‘আমি লোকসভা ভোটে প্রার্থী হতে চাই না। আলোচনার স্তরে নানা জনেরই নাম উঠতে পারে। দলনেত্রী সারা বাংলাকে হাতের তেলোর মতো চেনেন। তিনি যাঁকে চাইবেন, তিনিই দলের প্রার্থী হবেন।’’
মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের পাশাপাশি বহরমপুর কেন্দ্রের জন্যও আবু তাহেরের নাম বিবেচনার তালিকায় রয়েছে।
আবু তাহের বলেন, ‘‘দল যা বলবে, সেটাই হবে। আমি এর বেশি কিছু জানি না।’’ আর, অপূর্বর কথায়, ‘‘প্রার্থী ঠিক করবে দল। ওই তালিকায় আমার নাম থাকলে থাকতেও পারে। তার বেশি কিছু জানি না।’’