পানশালা বন্ধের দাবিতে রাস্তা অবরোধে মহিলারা

নবদ্বীপ ঘাট-কৃষ্ণনগর রাজ্য সড়কের পাশে অবস্থিত শিমুলতলা গ্রামটি। কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত ওই গ্রামে প্রায় ১৪ হাজার মানুষ বাস করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজয়কুমার বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি সেখানে গত ৬ ফেব্রুয়ারি একটি পানশালা-সহ রেস্তোরাঁ চালু করেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নবদ্বীপ শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:৫২
Share:

নিজস্ব চিত্র

শিমুলতলা গ্রামে পানশালা চালুর প্রতিবাদে পথে নামলেন স্থানীয় মহিলারা। সোমবার দুপুরে গ্রামের কয়েকশো মহিলা সদ্য চালু হওয়া ওই পানশালার সামনে ধর্নায় বসে বিক্ষোভ দেখান। প্রায় ঘণ্টা দুয়েক ধরে অবস্থান বিক্ষোভ চলার পরে কোতোয়ালি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে। এর পরে ধর্না তুলে নেওয়া হয়। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, তিন দিনের মধ্যে এই বিষয়ে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে পুলিশ আশ্বাস দিয়েছে।

Advertisement

নবদ্বীপ ঘাট-কৃষ্ণনগর রাজ্য সড়কের পাশে অবস্থিত শিমুলতলা গ্রামটি। কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত ওই গ্রামে প্রায় ১৪ হাজার মানুষ বাস করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজয়কুমার বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি সেখানে গত ৬ ফেব্রুয়ারি একটি পানশালা-সহ রেস্তোরাঁ চালু করেছেন। এতেই ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। গ্রামের দীর্ঘ দিনের বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক সমর গুপ্ত, রোমিও মৌলিক, প্রদীপ দে, রণজিৎ বিশ্বাসেরা জানান, গ্রামের মানুষকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে ওই মদের দোকান চালু করা হয়েছে।

ওই রেস্তোরাঁর মালিক গ্রামের বাসিন্দা নন। প্রদীপ বলেন, ‘‘দে পাড়া পঞ্চায়েতের ৫৩ নম্বর মৌজার ২৭৬/৭৫২ নম্বর প্লটে প্রায় আড়াই কাঠা জমির উপর গড়ে ওঠা বাড়িটি যে আসলে মদের দোকান হতে চলেছে, তা আমরা ঘুণাক্ষরেও জানতে পারিনি। আমরা জানতাম কেউ নতুন বাড়ি করে গ্রামে আসছে।’’ স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, সম্প্রতি মাসখানেক ধরে ভিতরে ভিতরে পানশালা তৈরির প্রস্তুতি সেরে ফেলেন বাড়ির মালিক। প্রদীপ বলেন, ‘‘বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায় ছিল না। এরপর গত ৬ ফেব্রুয়ারি, বুধবার হঠাৎ দেখি সেখানে বার কাম রেস্তোরাঁ চালু হয়ে গিয়েছে।”

Advertisement

গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, পানশালার সব চেয়ে কাছের প্রাথমিক স্কুলটি মাত্র দেড়শো মিটারের মধ্যে। বাকি আরও একটি প্রাথমিক স্কুল, একটি এসএসকে এবং একটি এমএসকে তিনশো থেকে সাড়ে তিনশো মিটারের মধ্যে রয়েছে। গ্রামে ঢুকতে ও বার হতে গেলে ওই মদের দোকান অতিক্রম না করে যাওয়ার অন্য কোনও রাস্তা নেই। তাই গ্রামের মানুষ একজোট হয়ে পথে নেমেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন