মা-মেয়েকে কুপিয়ে খুন, পালাল অভিযুক্ত

মা-মেয়ে খুনের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার মাঝরাতে সালার থানার শেখপাড়া এলাকার ঘটনা। মৃতেরা হলেন, আরিফা বিবি (৩২) ও রিয়া খাতুন (১২)।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সালার শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০১৬ ০১:০৬
Share:

তখনও শুকোয়নি রক্ত।— নিজস্ব চিত্র

মা-মেয়ে খুনের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার মাঝরাতে সালার থানার শেখপাড়া এলাকার ঘটনা। মৃতেরা হলেন, আরিফা বিবি (৩২) ও রিয়া খাতুন (১২)। ঘটনার পর রাতেই অভিযুক্ত ভরতপুরের খরিন্দা গ্রামের বাসিন্দা মিজানুর শেখ পলাতক।

Advertisement

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আরিফা বিবি তার দু’মেয়ে প্রিয়া ও রিয়া এবং ছেলে রিয়াজকে নিয়ে সালারের শেখপাড়ায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। আরিফার স্বামী ফিরোজ শেখ মাস দু’য়েক আগে মুম্বইয়ে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে যান। এ দিন সন্ধ্যায় অভিযুক্ত ওই যুবক তথা পারিবারিক বন্ধু মিজানুর শেখ আরিফার বাড়ি যায়। এর আগে বহুবার মিজানুর ওই বাড়িতে আসা যাওয়া করেছে।

অভিযোগ, মাঝরাতে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আরিফাকে খুন করে মিজানুর। আর্তনাদ শুনে বড় মেয়ে প্রিয়া মাকে বাঁচাতে যায়। ধারাল বঁটির আঘাতে তার হাত কেটে যায়। ছোট মেয়ে রিয়াও মাকে বাঁচাতে গেলে মিজানুর তাঁর গলায় কোপ মারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মা-মেয়ের।

Advertisement

ভাড়া বাড়ির মালিক মুক্তার হোসেন বলেন, “আরিফারা খুবই গরিব। আরিফার স্বামী ফিরোজ মুম্বইয়ে কাজে গিয়েছে। তিন ছেলে-মেয়ে নিয়ে বাড়িতে থাকত। ভাড়াও ঠিক মতো দিতে পারত না। অনেকবার ওই যুবককে আসতে মারা করি। কিন্তু সে বাধা শোনেনি।’’

এ দিকে ওই ঘটনার পর আরিফার জামাইবাবু মানিক শেখ ওই দিন মিজানুরের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে। মানিক শেখ বলেন, “ফিরোজের সঙ্গে মিজানুরের বন্ধুত্ব হয় মুম্বইয়ে কাজ করতে গিয়ে। তারপরে মালদহে একবার ফেরিওয়ালার ব্যবসা করতে গিয়েছিলওরা দু’জনে। সঙ্গে আরিফাও গিয়েছিল। সেই সুবাদেই পারিবারিক বন্ধুত্ব হয়েছিল। আসাযাওয়া ছিল। কিন্তু কেন খুন করল বুঝতে পারছি না।”

তবে পারিবারিক সূত্রে খবর, ফিরোজ ও মিজানুর দু’জনে মিলে একটি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেয়। সেই ঋণের টাকা পরিশোধ করা নিয়ে চাপা একটা অশান্তি চলছিল। কিন্তু সেই অশান্তি থেকে খুন হতে পারে অনুমান স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের। তবে জেলার পুলিশ সুপার সি সুধাকর বলেন, “সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে ওই খুন বলে বলেই মনে হচ্ছে। পুলিশ তদন্ত করছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন