ছাত্রীকে ঘুসি, মারে জখম যুবকও

বেশ কিছু দিন ধরেই একাদশ শ্রেণির ছাত্রীটিকে উত্যক্ত করছিল পাড়ারই এক যুবক। মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে কোনও ঝামেলায় জড়াননি মেয়ের পরিবার। কিন্তু সেটাই যে পরে কাল হয়ে দাঁড়াবে ভাবতে পারেননি তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০১৬ ০০:১৫
Share:

বেশ কিছু দিন ধরেই একাদশ শ্রেণির ছাত্রীটিকে উত্যক্ত করছিল পাড়ারই এক যুবক। মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে কোনও ঝামেলায় জড়াননি মেয়ের পরিবার।

Advertisement

কিন্তু সেটাই যে পরে কাল হয়ে দাঁড়াবে ভাবতে পারেননি তাঁরা।

মঙ্গলবার কুয়াশা ভোরে গৃহশিক্ষকের বাড়িতে টিউশন নিতে বেরিয়েছিল মেয়েটি। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পথ আটকায় পড়শি যুবক। জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। মেয়েটির হাজার কাকুতি মিনতি কাজে আসেনি। শেষে রুখে দাঁড়ায় ওই ছাত্রী।

Advertisement

হাত ধরে টানাটানি শুরু করতেই যুবকের গালে সপাটে চড় কষায় সে। তাতেই পৌরুষে আঘাত লাগে বীরপুঙ্গবের।

ছাত্রীর মুখ লক্ষ্য সজোরে ঘুষি চালায়। ঘুষি দিয়ে লাগে ওই ছাত্রীর চোখে। তাতেই ক্ষান্ত হয়নি। লোহার রড নিয়েও ওই ছাত্রীর উপর চড়াও হয়। মারধরে অচৈতন্য হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে ওই ছাত্রী।

বিষয়টি জানাজানি হতেই পাড়া-প্রতিবেশীরা এসে ওই যুবককে ধরে ফেলে। দু’চারটে চড়-থাপ্পড়ও লাগায়।

নবগ্রামের রসুলপুরের ওই ঘটনায় পুলিশের কাছে ওই যুবকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি ও মারধরের অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ছাত্রীর পরিবার। ওই যুবকের পরিবারও রাস্তায় একা পেয়ে মারধরের পাল্টা অভিযোগ এনেছেন। নবগ্রাম থানার ওসি দুলাল বিশ্বাস বলেন, ‘‘দু’পক্ষই থানায় অভিযোগ করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’’

জখম ওই ছাত্রীকে নবগ্রাম ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়। পরে তাকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। অন্য দিকে, মারধরে জখম ওই যুবক পাঁচগ্রাম গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ওই ছাত্রীর মা জানান, বেশ কয়েক দিন ধরে তাঁর মেয়েকে জ্বালাতন করত ওই যুবক। কিন্তু মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে ঝামেলায় জড়াননি। কিন্তু এ দিন সকালে মেয়ে গৃহশিক্ষকের কাছে টিউশন নিতে যাওয়ার সময়ে তাকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ওই যুবক। বাধা দেওয়ায় মেয়েকে মারধর করে। মেয়ে অজ্ঞান হয়ে রাস্তায় পড়ে যায়। খবর পেয়ে মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

ওই ছাত্রীর বাবা পেশায় ঠিকাদার কলিমুদ্দিন শেখ বলেন, ‘‘গ্রামবাসীরা কেউ মারধর করেছে বলে জানা নেই। তখন আমরা মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করানো নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম।’’

ছেলের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই যুবকের বাবা। তাঁর দাবি, ‘‘আমার ছেলেকে ফাঁসানোর জন্য ওরা নিজেরাই মেয়েকে মারধর করে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে এখন নাটক করছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন