উড়ালপুল নির্মাণের দাবিতে বিক্ষোভ কংগ্রেসের

দীর্ঘ দিন আটকে রয়েছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর উড়ালপুল নির্মাণের কাজ। তিতবিরক্ত স্থানীয় বাসিন্দারা উড়ালপুল নির্মাণে দ্রুত রাজ্য সরকারের অনুমতি দাবি করে স্মারকলিপি দিলেন জেলাশাসকের কাছে। বহরমপুর টাউন কংগ্রেস ও তিনটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার নেতৃত্বে তাঁরা বিক্ষোভও দেখান। বহরমপুর শহরের বুক চিরে চলে গিয়েছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক। এক দিকে বহরমপুর শহরে ঢোকার মুখে পঞ্চাননতলায় শিয়ালদহ-লালগোলা শাখার রেলগেট। অপরদিকে দেড় কিলোমিটার দক্ষিণে বহরমপুর শহরে ঢোকার মুখে চোঁয়াপুরে রয়েছে আরও একটি রেলগেট।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০১৪ ০১:০৭
Share:

বহরমপুরে কংগ্রেসের বিক্ষোভ কর্মসূচি। —নিজস্ব চিত্র।

দীর্ঘ দিন আটকে রয়েছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর উড়ালপুল নির্মাণের কাজ। তিতবিরক্ত স্থানীয় বাসিন্দারা উড়ালপুল নির্মাণে দ্রুত রাজ্য সরকারের অনুমতি দাবি করে স্মারকলিপি দিলেন জেলাশাসকের কাছে। বহরমপুর টাউন কংগ্রেস ও তিনটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার নেতৃত্বে তাঁরা বিক্ষোভও দেখান।

Advertisement

বহরমপুর শহরের বুক চিরে চলে গিয়েছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক। এক দিকে বহরমপুর শহরে ঢোকার মুখে পঞ্চাননতলায় শিয়ালদহ-লালগোলা শাখার রেলগেট। অপরদিকে দেড় কিলোমিটার দক্ষিণে বহরমপুর শহরে ঢোকার মুখে চোঁয়াপুরে রয়েছে আরও একটি রেলগেট। ওই দুই রেলগেটের দৌলতে ২৪ ঘণ্টাই যানজট লেগে থাকে বহরমপুর লাগোয়া জাতীয় এবং রাজ্য সড়কে। অসহনীয় ওই যানজট থেকে রেহাই পেতে পঞ্চাননতলা ও চোঁয়াপুরে রেলেগেটের উপর উড়ালপুল নির্মাণের জন্য বছর খানেক আগে রেল দফতর থেকে ৩৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। ১৫ আগস্ট ২০১৩ চোঁয়াপুরে শিলান্যসও করেন তৎকালীন রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী। পুনর্বাসনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে চোঁয়ারপুর রেলগেটের দু’পাশের রাস্তা লাগোয়া ২০৮টি দোকানঘর উচ্ছেদ করা হয়েছে ইতিমধ্যে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। রাজ্য সরকারের তরফে ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ না মেলায় গুরুত্বপূর্ণ দু’টি উড়ালপুল নির্মাণের কাজ আটকে রয়েছে।

উচ্ছেদ হওয়া ব্যবসায়ীরা এ দিন বিক্ষোভে অংশ নেন। স্মারকলিপি দিতে এসে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধি খাজিম আহমেদ বলেন, “ মানুষ বাম জামানার অবসান ঘটিয়ে পরিবর্তনের সরকার এনেছে যে কারণে তৃণমূল সরকার তার উল্টোটাই করছে।”

Advertisement

কংগ্রেসও এ বিষয়ে তাদের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছে। বহরমপুর টাউন কংগ্রেসের সভাপতি অতীশ সিংহের অভিযোগ, “তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকা কালীন ওই দু’টি উড়ালপুল করার জন্য বহুবার আবেদন করা হয়। তাঁর দলের আরও দুই সাংসদ মুকুল রায় ও দীনেশ ত্রিবেদী রেলমন্ত্রী থাকাকালীন আবেদন করেও সাড়া মেলেনি।” মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র অশোক দাস বলেন, “অধীর চৌধুরী আমলে নির্মাণের জন্য ৩৭ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। নিয়ম অনুযায়ী নির্মাণ খরচের একাংশ বহন করতে হয় রাজ্য সরকারকে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে পুরো টাকাটাই খরচ করছে রেল। রাজ্যের থেকে প্রয়োজন কেবল ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’। কিন্তু এক বছরের মধ্যে সেই অনুমতি না দেওয়ায় শিলান্যাস করার পরও উড়ালপুলের কাজ আটকে রয়েছে।” ওই দু’টি উড়ালপুলের ইস্যু বিধানসভার অধিবেশন পর্যন্ত গড়িয়েছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসের অধিবেশনে বহরমপুরের কংগ্রেস বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী বিধানসভার স্পিকারের দ্বারস্থ হন। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় মনোজ চক্রবর্তীর কাছ থেকে উড়ালপুল সংক্রান্ত কাগজপত্র চেয়ে নেন। মনোজবাবু বলেন, “তারপর প্রায় সাড়ে চার মাস কেটে গিয়েছে। আরও একটি অধিবেশন শুরু হয়েছে। তবুও ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ মেলেনি। এ কারণে চলতি অধিবেশনে পূর্ত দফতরের বাজেট পেশের দিন রেলের ওই দুটি উড়ালপুলের বিষয়ে পূর্তমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করা হয়। বিবৃতি না দেওয়ায় কংগ্রেসের বিধায়করা বিক্ষোভ দেখান।” মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র আশিস রায় চৌধুরী অবশ্য বলেন, “উড়ালপুলের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সর্ম্পক নেই। ওটা পূর্ত দফতরের বিষয়।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন