তিন এসএফআই কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল টিএমসিপি’র বিরুদ্ধে। ওই তিনজনের মধ্যে একজনের অবস্থা বেশ খারাপ। তাঁকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছেয়। বাকি দু’জনের চিকিৎসা চলছে কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে। এই ঘটনায় ১২ জন টিএমসিপি কর্মী-সমর্থকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
মাজদিয়া সুধীরঞ্জন লাহিড়ী মহাবিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের টেস্ট পরীক্ষা চলছে। অভিযোগ, শুক্রবার এসএফআই কর্মী-সমর্থকরা পরীক্ষা দিতে এলে টিএমসিপি’র ছেলেপুলেরা তাঁদের উপর চড়াও হয়। মারামারিতে এসএফআই তিন কর্মীরা জখম হয়। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আহত ছাত্র সমীর বিশ্বাস বলেন, ‘‘বেলা সাড়ে দশটা থেকে পরীক্ষা। সেই মত আমরা কলেজে গিয়ে ক্লাস রুমে বসি। আচমকা টিএমসিপির লোকজন এসে বলে হাইকোর্ট থেকে মামলা তুলতে হবে। না হলে পেটাব। তারপরই ওরা আমাদের উপর চড়াও হয়।” উল্লেখ্য মাস খানেক আগে ছাত্র সংসদের নির্বাচনে টিএমসিপি গা জোয়ারি করেছে-এই অভিযোগে হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয় এসএফআই। আদালত ওই কলেজে পুনরায় ভোট করার নির্দেশ দেয়। এসএফআই-এর জেলা সভাপতি কৌশিক দত্ত বলেন, ‘‘সন্ত্রাস মুক্ত পরিবেশে ভোট হলে হার নিশ্চিত জেনে টিএমসিপি আমাদের ছেলেদের মারধর করল।’’ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি অয়ন দত্ত অবশ্য এসএফআই-এর তোলা যাবতীয় অভিযোগ ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘এসএফআই-এর ছেলেরা পরীক্ষা দিতে এসে কৃষ্ণনগর লোকসভায় তৃণমূল প্রার্থী তাপস পালের বিরুদ্ধে উল্টোপাল্টা মন্তব্য করছিল। এই ঘটনার আমাদের ছেলেদের সঙ্গে এসএফআই কর্মীদের সামান্য হাতাহাতি হয়েছে মাত্র। আমাদের কেউ এসএফআই কর্মীদের মারেনি।’’ কলেজের অধ্যক্ষ সরোজেন্দ্রনাথ কর বলেন, ‘‘পরীক্ষার আগে সামান্য একটা গন্ডগোল হয়েছে বলে আমি খবর পেয়েছি। তবে আমার কাছে এই বিষয় নিয়ে কেউ কোনও লিখিত বা মৌখিক নালিশ জানাননি।”