তৃণমূল কর্মীকে অপহরণ করার অভিযোগে উঠেছে এক কংগ্রেসের নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। আইনাল শেখ নামে ওই ব্যক্তি সোমবার কান্দি মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তিন দিন পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে গত ১১ অক্টোবর রাতে কান্দি থেকে মোটর বাইকে রামেশ্বরপুর গ্রামে বাড়ি ফেরার সময় নপাড়া গ্রামের মাঠে তৃণমূল কর্মী মফিজুল শেখ অপহৃত হন। পুলিশ ওই এলাকা থেকে মোটর বাইক ও মফিজুলের জুতো উদ্ধার করেছে, মিলেছে ধস্তাধস্তির নিদর্শনও। রবিবার কংগ্রেস ওই নেতা-সহ মোট ছয় জনের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ করে ওই তৃণমূলকর্মীর পরিবারের লোকজন।
এ দিকে কান্দির বিধায়ক কংগ্রসের অপূর্ব সরকার জানান রাজনৈতিক উদ্দেশ নিয়েই প্রবীণ কংগ্রেস নেতাকে ফাঁসান হয়েছে। তিনি বলেন, “আইনাল সাহেব টানা পাঁচ বার পঞ্চায়েতে নির্বাচিত প্রধান ছিলেন। এখন তাঁর স্ত্রী ওই অঞ্চলের প্রধান। তৃণমূল ওই অঞ্চলে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে এর আগে পাঁচবার মিথ্যা মামলা করেছে। এবারও তাই করেছে।”
গত বিধানসভা ভোটে আইনাল সিপিআই-এর হয়ে কান্দি বিধানসভা এলাকায় প্রার্থী হয়েছিলেন। অপূর্ববাবুর কাছেই পরাজিত হয়ে অনুগামীদের নিয়ে কংগ্রেসে যোগ দেন। সিপিআইয়ে থাকার সময় মফিজুল ছিলেন তাঁর সমর্থক। কিন্তু কংগ্রেসে যোগ না দিয়ে মফিজুল তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। তৃণমূলের দাবি মফিজুলের নেতৃত্বে ওই অঞ্চলে তৃণমূল সক্রিয় হয়ে উঠেছে। বাধা দিতেই কংগ্রেস নেতা মফিজুলকে অপহরণ করেছে।
তৃণমূলের কান্দি ব্লক কমিটির সভাপতি ধনঞ্জয় ঘোষ বলেন, “কংগ্রেস নেতা আমাদের ওই কর্মীকে অপহরণ করে ওই এলাকায় নিজের অস্তিত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করছে। পুলিশ তদন্ত করছে।”
প্রায় একই কথা শুনিয়েছেন মফিজুলের মামাত ভাই সেরিফুল শেখ। তিনি বলেন, “ওই রাতে বাড়ি না ফেরায় আমরা খোঁজাখুঁজি করেছিলাম। কিন্তু না পেয়ে পুলিশে খবর দিয়েছি। ভাইয়ের উত্থানে ভীত হয়েই এই কাজ করেছে বিরোধীরা।”