নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ উঠল কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সত্যব্রত মুখোপাধ্যায় ওরফে জলুবাবুর বিরুদ্ধে।
দিন পাঁচেক আগে মিছিল করে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে যাওয়ার সময় অনুমতির বেশি গাড়ি ও মাইক ব্যবহারের অভিযোগে সোমবার বিকেলে তাঁকে ‘শো-কজ’ করেছিলেন নদিয়া জেলার সহকারী রিটার্নিং অফিসার তথা কৃষ্ণনগর সদর মহকুমাশাসক মৈত্রেয়ী গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবার বিকেলে জলুবাবুর নির্বাচনী এজেন্ট দিলীপ চট্টোপাধ্যায় তার উত্তর দেন। কিন্তু তা সন্তোষজনক না হওয়ায় রাতে দিলীপবাবু ও ওই মিছিলের অনুমতি নিয়েছিলেন যিনি, সেই হারাধন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে এফআইআর করেন মৈত্রেয়ীদেবী।
সোমবারই জলুবাবুর বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলে নদিয়ার জেলাশাসক পি বি সালিমকে চিঠি দিয়েছিল তৃণমূল। সঙ্গে মিছিলের ভিডিও-র একটা সিডি জমা দিয়েছিল তারা। একই দিনে জেলা প্রশাসন বিধিভঙ্গের নোটিস পাঠানোয় তা শাসকদলের চাপে বলে অভিযোগ উঠছে। জেলাশাসকের অবশ্য দাবি, ‘‘তৃণমূল অভিযোগ করার আগেই সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়কে শো-কজ করার সিদ্ধান্ত নিই। চিঠি পাঠানোর পরে তৃণমূল অভিযোগ করেছে।”
গত ১৭ এপ্রিল নদিয়ার জেলাসদর কৃষ্ণনগরে মনোনয়ন পত্র জমা দেন জলুবাবু। তার আগে তাঁকে নিয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘোরে বিজেপি। মাত্র তিনটি গাড়ি নিয়ে ঘোরার অনুমতি থাকলেও মিছিলে ৩৯টি চার চাকার গাড়ি ও ৬৭টি মোটর বাইক ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ প্রশাসনের। দু’টি মাইকের জায়গায় ব্যবহার করা হয়েছে ছ’টি মাইক। জেলাশাসক পি বি সালিম বলেন, ‘‘ভিডিও ছবিতে দেখা গিয়েছে সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়ের মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময় বেশ কিছু ক্ষেত্রে নির্বাচনী বিধিভঙ্গ হয়েছে। আমরা সেই সিডি ভাল করে খতিয়ে দেখে তাঁকে শো-কজ করি। উত্তর সন্তোষজনক না হওয়ায় এফআইআর করা হয়েছে।”
জলুবাবুর পাল্টা অভিযোগ, ‘রাজনৈতিক চক্রান্ত’ চলছে তাঁর বিরুদ্ধে। তাঁর বক্তব্য, “মিছিলে ওই সব আয়োজন দলীয় ভাবে করা হয়নি। মানুষ যদি স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে মিছিলে যোগ দেন তাহলে আমাদের কিছু করার থাকে না। তাতে নির্বাচনী বিধিও ভঙ্গ হয় না।” আইনি পথেই এর বিরুদ্ধে লড়াই করবেন বলে জানিয়েছেন জলুবাবু। তৃণমূল নেতা গৌরীশঙ্কর দত্তের মন্তব্য, ‘‘সত্যব্রতবাবুর মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার দিনে মিছিলে যে সংখ্যায় গাড়ি ছিল, তাতে বিধিভঙ্গ হয়েছে।