নবদ্বীপ বিদ্যাসাগর কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তাঁদের মধ্যে চার জনকে নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। সোমবারের ওই ঘটনায় পুলিশ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে।
কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকাল থেকেই ফর্মের জন্য দীর্ঘ লাইন পড়ে। নির্দিষ্ট সময়েই ফর্ম দেওয়ার কাজ শুরুও হয়ে যায়। দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ কলেজ চত্বরেই টিএমসিপি সমর্থকরা নিজেদের মধ্যে মারপিটে জড়িয়ে পড়ে। প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, ছাত্র সংসদের ঘরের মধ্যেই তুমুল মারপিট শুরু হয়। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে কলেজ চত্বরে। ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে তখনকার মতো গোলমাল থেমে যায়। কিন্তু সন্ধ্যায় কলেজের বাইরে, শহরের দক্ষিণাঞ্চলে আবার এক ছাত্রকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ঘটনার পরেই এদিন রাতে পুলিশ তিন জনকে গ্রেফতার করে। মঙ্গলবার ধৃতদের নবদ্বীপ আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠান। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত তিন জনেই আগে সক্রিয় কলেজ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে বহু অভিযোগও রয়েছে।
কিন্তু কী নিয়ে কলেজে গোলমাল বাধল তা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি কেউই। নবদ্বীপ বিদ্যাসাগর কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক টিএমসিপি’র সুমিত সিকদার বলেন, “নিজেদের মধ্যে কিছু একটা নিয়ে গোলমাল হয়েছিল। পরে তা মিটেও গিয়েছে।”
উল্লেখ্য, গত রবিবার নবদ্বীপের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী পুণ্ডরীকাক্ষ সাহা নবদ্বীপ বিদ্যাসাগর কলেজে ভর্তি নিয়ে যাতে কোনও অশান্তি না হয় তার জন্য বৈঠক করেছিলেন। এদিন মন্ত্রী বলেন, “বিষয়টি শুনেছি। শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছি।”
নবদ্বীপ বিদ্যাসাগর কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা পুরপ্রধান বিমানকৃষ্ণ সাহা আবার বলেন, “এই সব ঘটনার পিছনে বিজেপির মদত রয়েছে বলেই আমার অনুমান। ওরা যে ভাবেই হোক নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। তাই আমাদের ছেলেদের মধ্যে মিশে গিয়ে অশান্তি বাধাতে চাইছে।” বিজেপির নদিয়া জেলা সহ-সভাপতি জীবনকৃষ্ণ সেনের প্রতিক্রিয়া, “তৃণমূল নবদ্বীপে নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের লজ্জা ঢাকতে এসব বলছে।”