দু’টি কলেজেই নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তায় কর্তৃপক্ষ

গোলমাল এড়াতে বুধবারও বন্ধ রইল বহরমপুর কলেজ ও কৃষ্ণনাথ কলেজ। তবে, আজ বৃহস্পতিবার বহরমপুর কলেজ খুলছে অবশেষে। কৃষ্ণনাথ কলেজ কর্তৃপক্ষ অবশ্য অনির্দিষ্টকালের জন্য কলেজ বন্ধের নোটিস নতুন করে ঝুলিয়েছেন কলেজে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০১৪ ০০:০১
Share:

বুধবারেও বন্ধ থাকল কৃষ্ণনাথ কলেজের প্রাতঃবিভাগ। —নিজস্ব চিত্র

গোলমাল এড়াতে বুধবারও বন্ধ রইল বহরমপুর কলেজ ও কৃষ্ণনাথ কলেজ। তবে, আজ বৃহস্পতিবার বহরমপুর কলেজ খুলছে অবশেষে। কৃষ্ণনাথ কলেজ কর্তৃপক্ষ অবশ্য অনির্দিষ্টকালের জন্য কলেজ বন্ধের নোটিস নতুন করে ঝুলিয়েছেন কলেজে।

Advertisement

বহরমপুরের অন্যতম দু’টি কলেজে গত কয়েক দিন ধরে দুই ছাত্র সংগঠনের লাগাতার সংঘর্ষ চলছে। নিরাপত্তার কারণেই গত কয়েক দিনে ওই দুটি কলেজে পঠনপাঠন শিকেয় উঠেছে। সোমবার দুপুরের পর থেকে বুধবার পর্যন্ত পঠনপাঠন বন্ধ রয়েছে বহরমপুর কলেজে। অন্য দিকে মঙ্গলবার পঠনপাঠন বন্ধ রাখার পরে এ দিনও প্রাতঃবিভাগের পঠনপাঠন বন্ধ ছিল কৃষ্ণনাথ কলেজের। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ক্ষীণাষ্ণু সামন্ত বলেন, “অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে এসেছে। ওই নিরাপত্তার কারণেই কলেজের পঠনপাঠন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ফের নোটিস না দেওয়া পর্যন্ত বৃহস্পতিবার থেকে পঠনপাঠন বন্ধ থাকবে। তবে এমএ এবং এসএসসি বিভাগের পরীক্ষা সূচি মেনেই চলবে।”

অন্য দিকে বহরমপুর কলেজে এ দিন পঠনপাঠন বন্ধ থাকলেও অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠক হয়। কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বৈঠকে নিরাপত্তার কারণে কলেজের পঠনপাঠন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। পরে অধ্যক্ষ-সহ কলেজের এক প্রতিনিধি দল মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত জেলাশাসক তথা ভারপ্রাপ্ত জেলাশাসক অরবিন্দ মিনা এবং জেলা পুলিশ সুপার সি সুধাকরের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে তাঁদের কাছ থেকে নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়ে বৃহস্পতিবার কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কলেজ অধ্যক্ষ সমরেশ মণ্ডল বলেন, “কলেজে পুলিশ পাহারা দেওয়ার ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপারের আশ্বাস পেয়েছি। ফলে বৃহস্পতিবার থেকে কলেজ খোলা থাকবে।” এদিকে, ছাত্র পরিষদ ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এ দিন পৃথক ভাবে স্মারকলিপি জমা দেয় বলে কৃষ্ণনাথ কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বলেন, “নিরাপত্তার দাবিতে দুটি ছাত্র সংগঠন স্মারকলিপি দিয়েছে।” তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি রাজা ঘোষ বলেন, “কলেজ পত্রিকায় প্রকাশিত বেশ কয়েকটি প্রতিবেদনে তৃণমূল সরকার সম্বন্ধে কুরুচিকর ও কদর্য ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে। ওই কলেজ পত্রিকা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন