দলবদল,পঞ্চায়েতের দখল নিল তৃণমূল

কংগ্রেসে এবার বড়সড় ধস নামল জঙ্গিপুরে। দীর্ঘদিন দখলে থাকা রঘুনাথগঞ্জ ১ ব্লকের দফরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেস প্রধান মঞ্জুর আলি-সহ ৮ কংগ্রেস সদস্য ও সিপিএমের উপপ্রধান সফিকুল আলম-সহ ৫ সিপিএম সদস্য বৃহস্পতিবার সদলবলে তৃণমূলে যোগ দিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০১৪ ০০:২৬
Share:

কংগ্রেসে এবার বড়সড় ধস নামল জঙ্গিপুরে। দীর্ঘদিন দখলে থাকা রঘুনাথগঞ্জ ১ ব্লকের দফরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেস প্রধান মঞ্জুর আলি-সহ ৮ কংগ্রেস সদস্য ও সিপিএমের উপপ্রধান সফিকুল আলম-সহ ৫ সিপিএম সদস্য বৃহস্পতিবার সদলবলে তৃণমূলে যোগ দিলেন। ফলে ওই পঞ্চায়েতের কর্তৃত্ব গেল তৃণমূলের হাতে। এদিন তৃণমূলের জেলা সভাপতি মান্নান হোসেন দলত্যাগীদের হাতে দলের পতাকা তুলে দিয়ে ঘোষণা করেন, “কয়েক দিনের মধ্যেই মঞ্জুর আলির হাতে তুলে দেওয়া হবে দলের রঘুনাথগঞ্জ ১ ব্লক সভাপতির দায়িত্ব। সকলকে তা মেনে চলতে হবে। ব্যক্তিগত স্বার্থে তৃণমূলের কোনও নেতার বিশৃঙ্খল আচরণ আর বরদাস্ত করা হবে না বহু আশা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ জেলার দায়িত্ব আমাকে দিয়েছেন। তাই একটা কথা ভাল ভাবে জেনে রাখুন, দলের ক্ষতি হয় এমন কোনও কাজ করবেন না। যদি কেউ সে কাজ করেন, ঘাড়ধাক্কা দিয়ে দল থেকে বের করে দেওয়া হবে তাকে।”

Advertisement

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ করে মান্নান আরও বলেন, “ধুলিয়ান পুরসভা আমাদের দখলে এসেছে। বেলডাঙাও অনাস্থা ভোটে শুক্রবার দলের দখলে আসবে। জেলার বাকি ৪টি পুরসভা দখলের চ্যালেঞ্জ নিতে হবে আমাদের। এবার লক্ষ্য রানীনগর ১ ও ভগবানগোলা ১ পঞ্চায়েত সমিতি দখল। জেলায় কংগ্রেস ও সিপিএম দুর্বল হচ্ছে। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে আমাদের।”

সাগরদিঘিতে দলীয় কোন্দলে তৃণমূলের হাতে থাকা একমাত্র পঞ্চায়েত সমিতির বিরুদ্ধে দলীয় সদস্যরা অনাস্থা আনায় সেই পঞ্চায়েত সমিতি হাতছাড়া হতে বসেছে। ১৪ নভেম্বর অনাস্থা সভা ডাকা হয়েছে সেখানে। ১৬ জন দলীয় সদস্যের মধ্যে ১১ জন সেখানে অনাস্থা এনেছে। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মান্নান বলেন, “আমি বিক্ষুব্ধদের বলেছি অনাস্থা তুলে নিয়ে আমার সঙ্গে আলোচনায় বসতে।”

Advertisement

এই সভায় হাজির ছিলেন জেলা তৃণমূলের দুই নেতা হুমায়ুণ কবীর ও সাগির হোসেন। সাগির বলেন, “এ জেলায় আমাদের নেতা মান্নান হোসেন। তাঁর নেতৃত্বেই ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই জেলার দখল নিতে হবে আমাদের।” এমনকী হুমায়ুনও বলেন, “একটাই তৃণমূল থাকবে মুর্শিদাবাদ জেলায়। আর তা চলবে মান্নান হোসেনের নেতৃত্বেই।’’ আসার কথা থাকলেও সভায় হাজির হননি দলের তিন বিধায়ক ইমানি বিশ্বাস, চাঁদ মহম্মদ ও সুব্রত সাহা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement