অল্পের জন্য রক্ষা পেল বেশ কয়েক জন খুদে পড়ুয়া। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পণ্যবাহী একটি লরি নবগ্রামের মহলো হরিজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ঢুকে পড়ে। রবিবার গভীর রাতে হওয়ার ফলে ওই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। সোমবার সকালে বিষয়টি নজরে আসার পরেই গ্রামবাসীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। কেননা, পণ্যবাহী ওই লরিটি পাঁচিল লাগোয়া শৌচাগার ভেঙে স্কুলের উঠোনের মধ্যে কাত হয়ে পড়ে থাকে। স্কুলের প্রধানশিক্ষক মুকুল দে বলেন, “প্রতি দিন স্কুলের বারান্দায় প্রি-প্রাইমারীর ক্লাস বসে। ওই শ্রেণিতে ১৬ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। কোনও ভাবে স্কুল চলাকালীন ওই দুর্ঘটনা ঘটলে বড়সড় বিপদ ঘটতে পারত। রাতের দিকে ওই ঘটনা ঘটার ফলে বড় বিপদ থেকে রক্ষা পেল ওই ছাত্রছাত্রী।” এর আগে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের সময়ে ওই স্কুল সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার দাবি ওঠে। গ্রামবাসীরা রাস্তা অবরোধও করে। পরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ ওই স্কুল অধিগ্রহণ করতে বাধ্য হয়। অধিগ্রহণের জন্য ক্ষতিপূরণ বাবদ স্কুল কর্তৃপক্ষকে ১৫ লক্ষ ৯৬ হাজার টাকাও দেয় তারা। ওই অর্থে নতুন স্কুল ভবন নির্মাণের কাজও চলছে। এই অবস্থায় রবিবার গভীর রাতে পণ্যবাহী ওই লরি পাঁচিল-শৌচাগার ভেঙে স্কুল ভবনের উঠোনের উপরে এক দিক কাত হয়ে উল্টে রয়েছে। প্রধান শিক্ষক বলেন, “১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৯৯ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। মহলো গ্রামের হরিজন সম্প্রদায়ের পরিবারের ছেলেমেয়েরা ওই স্কুলে লেখাপড়ার জন্য ভর্তি হয়।” স্কুল কর্তৃপক্ষ ওই ঘটনা জানিয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। যদিও দুর্ঘটনাগ্রস্ত লরিটি সরানোর ব্যাপারে পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ। ফলে এ দিন স্কুলে কোনও পঠনপাঠন হয়নি। ছাত্রছাত্রীদের মিড-ডে মিলের রান্না খাওয়ানোর পরে দুপুরে স্কুল ছুটি ঘোষণা করে দেওয়া হয়।