দোলের রাতে খুন হন কংগ্রেস কর্মী রফিকুল শেখ (৩৮)। বাড়ি নওদা থানার কানাপাড়ায়। বৃহস্পতিবার রাতে আমতলা হাসপাতাল মোড়ে এক দল দুষ্কৃতী ওই কংগ্রেস কর্মীকে কুপিয়ে ও গুলি করে খুন করে। ঘটনার পরেই রফিকুলের পরিবার নওদা থানায় ‘অজ্ঞাতপরিচয়’ এক দল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ শুক্রবার সকালে দু’জনকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান জমি কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত দুই গোষ্ঠীর বিবাদের জেরে ওই খুন। জেলা পুলিশ সুপার সি সুধাকর বলেন, “ওই ব্যক্তি জমি কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ওই ঘটনায় দুই গোষ্ঠীর বিবাদের জেরেই খুন বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে। পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।” ওই ঘটনায় অবশ্য আজ শনিবার আমতলা বাজার বন্ধের ডাক দিয়েছে কংগ্রেস।
জানা গিয়েছে, দোলের প্রথম রাতে ওই কংগ্রেস কর্মী আমতলা হাসপাতাল মোড়ে একটি চায়ের দোকানে আড্ডা মারছিলেন। সেই সময়ে জনবহুল ওই মোড়ে এক দল দুষ্কৃতী আচমকা ওই কংগ্রেস কর্মীকে ঘিরে ধরে খুনের চেষ্টা করে। তখন দুষ্কৃতীদের নাগাল থেকে বাঁচতে ঘটনাস্থল থেকে ছুটে পালানোর চেষ্টা করেন ওই কংগ্রেস কর্মী। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা তখন তাকে লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়ে। বোমার আঘাতে রাস্তার উপরে উল্টে পড়ে গেলে দুষ্কৃতীরা এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে এবং খুব কাছ থেকে গুলিও চালায়। ঘটনাস্থলেই ওই কংগ্রেস কর্মী মারা যান। নওদার কংগ্রেস বিধায়ক আবু তাহের খান বলেন, “এলাকা দখলের রাজনীতির জেরে ওই কংগ্রেস কর্মীকে খুন করা হয়েছে।” ওই খুনের খবর পেয়ে এ দিন নওদা যান জেলা কংগ্রেসের নেতৃবর্গ। জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র অশোক দাস বলেন, “রফিকুল শেখের স্ত্রী কহিনুর বিবি গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে আরএসপি দলের হয়ে ভোটে লড়ে জয়ী হন এবং আমতলা পঞ্চায়েতের সদস্য হন। কিন্তু গত ৪ জানুয়ারি কহিনুর বিবি কংগ্রেস দলে যোগ দেন। ফলে প্রতিহিংসাবশত আমাদের ওই কর্মীকে খুন করা হয়েছে।” অশোকবাবু জানান, “প্রতিবাদে আজ শনিবার ১২ ঘন্টার আমতলা বাজার বন্ধের ডাক দেওয়া হয়েছে।