সংগঠন ছিলই। মোদী হাওয়ায় লোকসভা ভোটে আরও চাঙ্গা হয়েছে সাংগঠনিক শক্তি। এই প্রেক্ষিতে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা পুরসভায় আসন্ন পুরভোটকে পাখির চোখ করে ঘর গোছাতে নেমে পড়েছে বিজেপি।
কংগ্রেস পরিচালিত বেলডাঙা পুরসভায় গত ২০১০ সালের নির্বাচনে বিজেপি একটি আসন দখল করেছিল। এ ছাড়াও একটি ওয়ার্ডে দ্বিতীয় স্থানে ও একটিতে তৃতীয় স্থানে ছিল। অর্থাৎ বিজেপি-র রাজনৈতিক ভিতটা ছিল। এ বার তাতেই মোদী হাওয়া লেগেছে। লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পরে দেখা যাচ্ছে পুরসভার মোট ২০৩৭৩টি ভোটের মধ্যে কংগ্রেস ৭৫৮৪, বিজেপি ৩৪২৯, বামফ্রন্ট ২৮২৩ ও তৃণমূল ১৯৮৪টি ভোট পেয়েছে। অর্থাৎ বামেদের পুরনো ঘাঁটিতে দ্বিতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছে বিজেপি। ১৪টি ওয়ার্ডে মোট বুথ ছিল ২৬টি। দেখা যাচ্ছে এর মধ্যে ২৫৬ ও ২৪৯ নম্বর বুথে বিজেপি প্রথম স্থানে রয়েছে। এছাড়া ২৪২, ২৪৪, ২৪৭, ২৪৮, ২৫৫, ২৫৯, ২৬১, ২৬২ বুথে দ্বিতীয় স্থানে আছে বিজেপি। লোকসভা ভোটের ফলাফলে উচ্ছ্বসিত বিজেপি নেতৃত্ব এখন থেকেই আসন্ন পুরসভার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। শহর বিজেপির সভাপতি তথা ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর অলোক ঘোষ বলেন, “পুরভোটে ফল ঘোষণার পরেই আমারা মিটিং ডেকে ছিলাম। সেই মিটিংয়ে ঠিক হয়েছে ১ জুনের পর ১৪টি নতুন ওয়ার্ড কমিটি গঠন করা হবে। এ ছাড়া ২৩ মে কোর কমিটি গঠন করতে মিটিং ডাকা হয়েছে।”
তবে, বিজেপিকে মোটেই গুরুত্ব দিচ্ছে না কংগ্রেস। লোকসভা ভোটে ২৬টির মধ্যে ২৩টি বুথে প্রথম স্থানে আছে তারা। কংগ্রেসের পুরপ্রধান অনুপমা সরকার বলেন, ‘‘বেলডাঙায় কংগ্রেসই প্রধান শক্তি। পুরভোটের জন্য আমরাও কিছু প্রস্তুতি নিয়েছি। বিশেষ কিছু কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে পানীয় জলের সমস্যা মেটানোকে অগ্রাধিকার দিয়েছি।”
পক্ষান্তরে, ২৬টি বুথের মধ্যে মাত্র দু’টিতে এগিয়ে থেকেও বামেরা দাবি করছে তারাই দ্বিতীয় শক্তি। বামফ্রন্টের পক্ষে বিরোধী দলনেত্রী সিপিএমের শিলা ঘোষ বলেন, ‘‘লোকসভা ভোটের সঙ্গে পুরভোটের তুলনা করা ঠিক নয়। পুরভোট অনেকটাই স্থানীয় ইস্যু নিয়ে হয়। আমাদের জায়গা বিজেপি স্থানীয় স্তরে কোনও দিনই নিতে পারবে না।”