তুলি হাতে অভিজিত্
নিজস্ব সংবাদদাতা • রঘুনাথগঞ্জ
রঘুনাথগঞ্জে নিজস্ব চিত্র।
দলীয় কর্মীদের প্রতি নির্দেশ ছিল---‘‘দু’দিনের মধ্যেই দেওয়াল লিখন শেষ করতে হবে...।” কিন্তু তারপরেও কি আর নিশ্চিন্তে ঘরে বসে থাকা যায়! বুধবার তাই সাত সকালে জঙ্গিপুরের কংগ্রেস প্রার্থী অভিজিত্ মুখোপাধ্যায় নিজেই বেরিয়ে পড়েছিলেন কর্মীদের উত্সাহ দিতে। রঘুনাথগঞ্জের বালিঘাটাতে চার কর্মীকে দেওয়াল লিখতে দেখে গাড়ি থেমে যায়। চালকের আসন থেকে লাফ নিয়ে নেমে কর্মীদের বললেন, “তুলিটা দে তো দেখি।” পা দুটো হাই ড্রেনের দু’পাশে রেখে চোখ থেকে রোদচশমা না খুলেই দেওয়ালে দিলেন তুলির টান। রঙের পোঁচ পড়তে না পড়তেই এক কর্মী বলে উঠলেন, “দাদা পুরো শিল্পী মানুষ।” মুচকি হেসে প্রার্থী গাড়ির দিকে পা বাড়ান। পিছন থেকে আর এক কর্মী পাশের জনকে গলা নামিয়ে বলেন, “গতবার তো দাদা সাকুল্যে আড়াই হাজার ভোটে জিতেছিল। এবার কি দেওয়াল টেওয়াল লিখে কিছু বাড়বে? নাকি....।” কথা শেষ না হতেই ধুলো উড়িয়ে এগিয়ে চলে অভিজিতের জিপ।
তৃণমূলের পিঠে-প্রচার
নিজস্ব সংবাদদাতা • নবদ্বীপ
নবদ্বীপে নিজস্ব চিত্র।
নবদ্বীপে দেওয়াল লিখছিলেন তৃণমূলের দুই কর্মী। সাদা অ্যাপ্রনের পিছনে ঘাসফুল আঁকা দেখে পরিচিত অনেকেই টিপ্পনি কাটছিলেন“কী রে, দেওয়ালের আগেই পিঠে প্রচার?” ভোটের সময় অভিনব অনেক কিছু দেখলেও এমন দৃশ্য কিন্তু এর আগে নবদ্বীপও দেখেনি। হঠাত্ অ্যাপ্রনে প্রচার কেন? স্থানীয় তৃণমূলের এক নেতা জানাচ্ছেন, বলতে পারেন প্রচারেও প্রচার। দলীয় প্রার্থীর প্রচারে দেওয়াল লিখছেন তৃণমূল কর্মীরাই। সেই কারণেই এমন সাদা অ্যপ্রনের ব্যবস্থা। দেওয়াল লিখতে গেলে অনেক হ্যাপা রয়েছে। প্রথমে দেওয়ালে চুন দাও রে, অপেক্ষা কর রে, তারপর লেখো রে। এর মাঝখানে অনেকটা সময়, থুড়ি প্রচার মাঠে মারা যায়। সেই কারণে দেওয়াল-পর্বের পাশাপাশি চলবে পিঠে-প্রচারও।