সরকারি অনুমতির অপেক্ষা, থানায় পড়ে আছে বিষ্ণুমূর্তি

অবহেলায় পড়ে আছে পাল-সেন যুগের বিষ্ণু মূর্তি। চলতি বছরের ১৪ জুন বেলডাঙার কাপাসডাঙায় মাটি খুঁড়ে পাওয়া গিয়েছিল ৪ ফুট ১১ ইঞ্চির মূর্তিটি। তারপর থেকে তার ঠাঁই হয়েছে বেলডাঙা থানায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বেলডাঙা শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০১৪ ০১:২০
Share:

অবহেলায় পড়ে আছে পাল-সেন যুগের বিষ্ণু মূর্তি। চলতি বছরের ১৪ জুন বেলডাঙার কাপাসডাঙায় মাটি খুঁড়ে পাওয়া গিয়েছিল ৪ ফুট ১১ ইঞ্চির মূর্তিটি। তারপর থেকে তার ঠাঁই হয়েছে বেলডাঙা থানায়। দর্শনার্থীর ভিড় সামলাতে নাজেহাল পুলিশ মূর্তিটি রেখে দিয়েছে গাছের নীচে। আপাতত এভাবেই থাকবেন বিষ্ণু দেব। অন্তত যতদিন স্থায়ী সংগ্রশালা খুঁজে না-পাওয়া যায়।

Advertisement

সরকারি তরফে সিদ্ধান্ত হয় মুর্শিদাবাদ সংগ্রহশালায় মূর্তিটি সংরক্ষণ করা হবে। কিন্তু সরকারি কাজকর্মে বেশ কিছুটা দেরি হয়ে গিয়েছে। সাধারণত এ ধরণের দাবিদারহীন সম্পত্তি স্থানান্তর করতে সরকারি অনুমতির দরকার হয়। সেই অনুমতিপত্র না আসা পর্যন্ত মূর্তিটিকে সংগ্রহশালায় পাঠানো যাচ্ছে না বলে জানা গিয়েছে থানা সূত্রে।

এ দিকে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া প্রত্ন নিদর্শন বাইরে পাঠাতে নারাজ। তাঁদের দাবি স্থানীয় ডুমনিদহ থেকে এর আগেও বহু প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে। এই মূর্তিটিও সেখান থেকেই পাওয়া। তাই ওই অঞ্চলে একটি সংগ্রহশালা তৈরি করে দেওয়া হোক।

Advertisement

কিন্তু আপাতত লালবাগের জিয়াগঞ্জেই পাঠাতে হবে বিষ্ণুমূর্তি। মহকুমাশাসক সুপ্রিয় দাস বলেন, ‘‘যদি কোনও দিন সদর মহকুমায় সংগ্রহশালা নির্মাণ করা যায় তবে মূর্তিটি যাতে জিয়াগঞ্জ থেকে ফিরিয়ে আনা যায় তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ বিষয়ে অনুমতি পত্রে উল্লেখ রাখা হয়েছে।” মহকুমাশাসক জানান অনুমতি পত্রটি তৈরিও হয়ে গিয়েছে। শীঘ্র মূর্তিটি মুর্শিদাবাদ সংগ্রহশালায় স্থানান্তরিত করা হবে।’’

এদিকে থানায় মূর্তিটির অযত্ন প্রসঙ্গে ওসি অরূপ রায় বলেন, “অযত্নের কোনও প্রশ্নই ওঠে না। তবে ওত বড় মূর্তি থানায় রাখার অসুবিধা সে কথা ঠিক।”

থানা সূত্রে জানা গিয়েছে প্রথমে থানার ভিতরে একটি গাছের নীচে রাখা হয়েছিল মূর্তিটি। কিন্তু সেখানে দলে দলে মানুষ আসতে শুরু করেন। তারপরই নাকি থানা সেটিকে মূল ফটকের পাশে রেখে দেয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন