আবার অভিযোগ দায়ের, অস্বস্তি কাটছে না সাংসদের। —ফাইল চিত্র।
সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ফের বালুরঘাট থানায় প্রতারণা ও তথ্য বিকৃতির অভিযোগ দায়ের করলেন নম্রতা দত্ত। শুধু ঋতব্রতর নামে অভিযোগ দায়ের করেই থামেননি বালুরঘাটের ওই যুবতী। সাংসদের বান্ধবী দূর্বা সেনের বিরুদ্ধেও রবিবার তথ্য গোপন করার অভিযোগ এনেছেন নম্রতা। তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাংসদ ঋতব্রত একাধিক বার তাঁর সঙ্গে সহবাস করেছেন, কিন্তু বিয়ের কথা বললেই বার বার এড়িয়ে গিয়েছেন, অভিযোগ নম্রতার। শেষে তিনি যখন সাংসদকে জানান যে তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হবেন, তখন সাংসদ তাঁকে মোটা টাকা দেওয়ার টোপ দিতে শুরু করেন বলে নম্রতা পুলিশকে জানিয়েছেন।
ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নম্রতা দত্তর এই অভিযোগ নতুন অবশ্য নয়। আগেও পুলিশকে তিনি একই কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু গত ৩ অক্টোবর তাঁর আইনজীবীরা বালুরঘাট আদালতে এ সংক্রান্ত তথ্য ঠিক মতো পেশ করতে পারেননি।
আরও পড়ুন: সিআইডি থেকে বদলি মুকুল-ঘনিষ্ঠ
পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে নম্রতা আরও অভিযোগ করেন, ঋতব্রত নিজের ট্যুইটারের মাধ্যমে তাঁর (নম্রতার) মোবাইল নম্বর ছড়িয়ে দেওয়ায়, রোজ অচেনা নম্বর থেকে তাঁর কাছে হুমকি ফোন আসছে। সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া মুকুল রায়ও ঋতব্রতকে মদত জোগাচ্ছেন বলে নম্রতার দাবি। হুমকি ফোনগুলিতে তাঁকে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করা হচ্ছে বলে নম্রতা পুলিশকে জানিয়েছেন। সাংসদের আগাম জামিন খারিজ করার দাবিও তুলেছেন নম্রতা।
আরও পড়ুন: গণধর্ষণের পর খুন করে ছাত্রীর দেহ বিছানাতে রেখে গেল দুষ্কৃতীরা
সাংসদ ঋতব্রতর বান্ধবী দূর্বা সেনের বিরুদ্ধে নম্রতার অভিযোগ তথ্য গোপন করার। দূর্বা জানেন যে, ঋতব্রত কোথায় রয়েছেন। কিন্তু সিআইডি-কে তিনি সে কথা বলছেন না। দাবি নম্রতার। ভারতীয় দন্ডবিধির ২০১ ধারায় দূর্বা সেনের বিরুদ্ধে কেন মামলা শুরু হবে না? লিখিত অভিযোগে এই প্রশ্নও তুলেছেন নম্রতা দত্ত।