বালক-কিশোরের সংগ্রামকে কুর্নিশ

৮ অগস্ট ৭৫ বছর পূর্ণ হল ভারত ছাড়ো আন্দোলনের। সেই আন্দোলনের ৭৫ বছর পরে দেশে জীবিত ১৩,০১৩ জন স্বাধীনতা সংগ্রামী। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী তাঁরা স্বাধীনতা-যোদ্ধা হিসাবে পেনশন পান। প্রয়াত আরও ২৪ হাজার ৪৪৭ জন। মৃতদের পরিবার কেন্দ্রীয় পেনশন পান।

Advertisement

জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০১৮ ০৩:৫০
Share:

ছবি: পিটিআই।

আর কয়েক দিন পরেই ১৫ অগস্ট, দেশের ৭১তম স্বাধীনতা দিবস। বুধবার, ৮ অগস্ট ৭৫ বছর পূর্ণ হল ভারত ছাড়ো আন্দোলনের। সেই আন্দোলনের ৭৫ বছর পরে দেশে জীবিত ১৩,০১৩ জন স্বাধীনতা সংগ্রামী। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী তাঁরা স্বাধীনতা-যোদ্ধা হিসাবে পেনশন পান। প্রয়াত আরও ২৪ হাজার ৪৪৭ জন। মৃতদের পরিবার কেন্দ্রীয় পেনশন পান।

Advertisement

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রশাসনিক কর্তারা অবশ্য স্বাধীনতা অর্জনের সত্তর বছর পেরিয়ে যাওয়ার পর ১৩ হাজার পেনশন প্রাপককে নিয়ে শ্লাঘা বোধ করেন। এ রাজ্যেও স্বাধীনতা সংগ্রামীর পেনশন প্রাপকদের মধ্যে অনেকে রয়েছেন যাঁদের বয়স আশির কোঠায়। স্বাধীনতা অর্জনের সময় বয়স ছিল ১০ বছরের কাছাকাছি। মন্ত্রকের এক কর্তার কথায়,‘‘ আমরা ভেবে অবাক হই যে এ দেশে বালক-কিশোর বয়সেও অনেকে স্বাধীনতা সংগ্রাম করেছেন। সরকার তাঁদের ভূমিকা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে।’’

সরকারি হিসাবে সব মিলিয়ে ৩৭ হাজার ৪৬০ জন স্বাধীনতা সংগ্রামী বা পরিবার-পেনশন পাচ্ছেন। সবচেয়ে বেশি পেনশন প্রাপক অন্ধ্রপ্রদেশে। এর পরেই পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, বিহার, তেলঙ্গানা, কর্নাটকের স্থান। মন্ত্রক জানাচ্ছে, ১৯৮০ সালে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধী স্বতন্ত্রতা সৈনিক সম্মান পেনশন প্রকল্প চালু করেন। সেই প্রকল্প অনুযায়ী, আন্দামানে বন্দি স্বাধীনতার যোদ্ধারা মাসে ৩০ হাজার টাকা পেনশন পান। যে সব স্বাধীনতা সংগ্রামীকে ব্রিটিশরা ভারতের বাইরে বন্দি করে রেখেছিলেন, তাঁরা পান ২৮ হাজার টাকা। আজাদ হিন্দ ফৌজ-সহ অন্য স্বাধীনতা সংগ্রামীরা পান মাসিক ২৬ হাজার। বিনা পয়সায় রেল যাত্রা, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা, টেলিফোন, বাড়ির ব্যবস্থাও করা হয়। পরিবার-পেনশন অবশ্য অর্ধেক হয়ে যায়।

Advertisement

আরও পড়ুন: পাচার থেকে বাঁচাতে বিল পাশের আর্জি

ধীনতা আসার প্রায় ৪০ বছর পর পেনশন প্রকল্প চালু হয়। ততদিনে অনেকেরই সরকারি রেকর্ড নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, কোনও তাম্রপত্র প্রাপক যোদ্ধা যদি কাউকে শংসাপত্র দিয়ে তাঁর অবদান স্বীকার করেন, তবে তিনিও পেনশনের জন্য বিবেচিত হবেন। এক মন্ত্রক কর্তার কথায়, ‘‘প্রবীণেরা অনেকেই একশো ছুঁই ছুঁই। কিন্তু ১৯৪৭-এ বালক বা কিশোর থাকাকালীনও যাঁরা স্বাধীনতা সংগ্রামে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁদের একাংশ ‘শংসাপত্র’ পেয়েছিলেন। ফলে সরকার তাঁদের ভূমিকাও মেনে নিয়েছিল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন