উদ্যোগ: বেঙ্গল সাফারি পার্কে শুরু হবে লেপার্ড সাফারি। তার আগে লেপার্ড ছাড়া হল ওপেন এনক্লেভে। নিজস্ব চিত্র
শিলিগুড়ির অদূরে বেঙ্গল সাফারিতে শুরু হল লেপার্ড সাফারি। রবিবার পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব ও বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন সাফারির উদ্বোধন করেন। গত মাসেই রসিক বিল ও খয়েরবাড়ি থেকে মোট চারটি চিতাবাঘ নিয়ে আসা হয় বেঙ্গল সাফারিতে। এ ছাড়াও গত সপ্তাহেই আলিপুর চিড়ায়াখানা থেকে তিনটি কুমীর আনা হয়। এবার থেকে কুমীর ছাড়াও চিতাবাঘ দেখার সুযোগ পাবেন দর্শকরা। বেঙ্গল সাফারিকে ঢেলে সাজাতে আরও পরিকল্পনা রয়েছে বলেও মন্ত্রী জানিয়েছেন।
মন্ত্রী গৌতমবাবু বলেন, ‘‘ভারতে প্রথম বেঙ্গল সাফারিতেই লেপার্ড সাফারি চালু হল। মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছেতেই বেঙ্গল সাফারি পার্ক চালু করা হয়েছিল। দিনদিন বেঙ্গল সাফারিতে আসা দর্শকের সংখ্যা বাড়ছে। গত আর্থিক বছরে ২কোটি টাকা এখান থেকে আয় হয়েছে। গত দু’মাসেই ৫৬ লক্ষ টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছে।’’
বনমন্ত্রী বিনয়বাবু বলেন, ‘‘মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প এটি। বেঙ্গল সাফারির প্রথম পর্যায়ের কাজ এবছর ডিসেম্বরে শেষ হওযার কথা থাকলেও, তা ছ’মাস আগেই শেষ হয়েছে। তাও প্রায় অর্ধেক খরচে করা হয়েছে। এখানে যে কোনও পর্যটক এলে আমাদের উত্তরবঙ্গে যত ধরনের বন্যপ্রাণী রয়েছে সবই এখানে দেখা যাবে। যা অন্য কোথাও পাওয়া যাবে না। পরবর্তীতে বাটার ফ্লাই পার্ক থেকে শুরু করে আরও কিছু পরিকল্পনা আমাদের আছে। সময়ে আপনাদের সেসব জানাব।’’
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০ হেক্টর জমির উপরে তৈরি হয়েছে এই লেপার্ড সাফারি। দর্শকরা যাতে ভালমতো চিতাবাঘ দেখতে পারেন সে জন্য তাদের এনক্লোজারে রাখা হয়েছে। মোট চারটি চিতাবাঘের মধ্যে দু’টি পুরুষ ও অন্য দু’টি মেয়ে। ছেলেদের নাম রাখা হয় সচিন, সৌরভ আর মেয়েদের নাম রাখা হয় শীতল ও কাজল।
সাফারি পার্কে দর্শকদের জন্য ৮০টি হরিণ ছাড়া হয়েছিল। এখন তার সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। চারটি সাদা ময়ূর ছাড়া হয়েছিল তাদেরও বাচ্চা হয়েছে। এ ছাড়াও সাফারি পার্কে শীলা নামে রয়েল বেঙ্গল বাঘটি তিনটি বাচ্চা দিয়েছে গতমাসে। সেগুলির নামকরণ মুখ্যমন্ত্রী নিজেই করবেন বলে জানা গিয়েছে।
বেঙ্গল সাফারি পার্কে ঘুরতে আসা পর্যটক শিলিগুড়ির নমিতা সাহা বলেন, ‘‘এই প্রথম এখানে এসেই জানলাম লেপার্ড সাফারি শুরু হচ্ছে আজই। শিলিগুড়ির কাছাকাছি এত ভাল জায়গায় এসে ভীষণ আনন্দ হচ্ছে।’’