এ বার থেকে জেলায় নতুন ইটভাটা করতে হলে স্কুল, কলেজ, জাতীয় সড়ক এবং নদীর পাড় থেকে ১০০ মিটার দূরে তা করতে হবে। সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যে কমবেশি দেড় হাজার ইটভাটা রয়েছে। প্রশাসনের অভিজ্ঞতা হল, অনেক জায়গায় ইট তৈরির সময়ে এমন ভাবে মাটি কাটা হচ্ছে যে নদীর পাড় ভেঙে যাচ্ছে। চাষ যোগ্য জমির মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে, এমন অভিযোগও রয়েছে। এই প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশ ছিল, নদীর পাড়, স্কুল, কলেজ, জাতীয় সড়কের কাছে ইটভাটা করা যাবে না। রাজ্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এ সব ক্ষেত্রে ১০০ মিটার দূরে ইটভাটা করতে হবে। তবে পুরনো ভাটা সরানো হবে না। নবান্নের এক পদস্থ কর্তা জানান, নতুন ইটভাটা তৈরি করতে আগে সেচ দফতরের অনুমোদন লাগত। এখন থেকে শিল্প দফতরের অধীন মাইনস অ্যান্ড মিনারেলস কর্পোরেশনের আওতায় ইটভাটাকে যুক্ত করা হয়েছে। প্রতিটি জেলাশাসকের কাছ থেকে এক জানলা পদ্ধতিতে ভাটার লাইসেন্স নিতে হবে।