Daribhit

পৌঁছল কমিশন

এ দিন সকালে ইসলামপুরের বিজেপির টাউন সভাপতি চিকিৎসক সৌমরূপ মণ্ডল ওই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করেন। সৌমরূপ ওই প্রতিনিধি দলকে আহতেরা শিলিগুড়ির কোথায় ভর্তি ছিল সে সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্যও দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ইসলামপুর শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০১৮ ০২:৫৯
Share:

ইসলামপুরের দাড়িভিট স্কুল।—নিজস্ব চিত্র।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যেরা দাড়িভিট কাণ্ডে শিলিগুড়িতে তদন্ত শুরু করলেন। সেখানে যে নার্সিংহোমে আহতদের চিকিৎসা হয়েছিল, শুক্রবার সেখানে যান তাঁরা। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তারপরে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান। সেখানে ময়নাতদন্ত হয়েছিল গুলিতে নিহত রাজেশ সরকার ও তাপস বর্মণের। সেখানেও সব নথিপত্র খতিয়ে দেখেন তাঁরা।

Advertisement

তার আগে এ দিন সকালে ইসলামপুরের বিজেপির টাউন সভাপতি চিকিৎসক সৌমরূপ মণ্ডল ওই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করেন। সৌমরূপ ওই প্রতিনিধি দলকে আহতেরা শিলিগুড়ির কোথায় ভর্তি ছিল সে সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্যও দেন।

তবে স্কুল এ দিনও খোলেনি। শনিবারের পরেই পুজোর ছুটি শুরু হবে।

Advertisement

শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও নির্দেশ দিয়েছিলেন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্কুলে যাওয়ার জন্য। বৈঠক করার পরে দু’দিন পাঁচ জন করে শিক্ষক স্কুলে ঢোকার জন্য যান। কিন্তু স্কুল মাঠে যাওয়ার আগেই অভিভাবকদেরই বাধার মুখে পড়তে হয় তাঁদের। তার পর থেকেই দু’দিন আর স্কুলমুখিও হননি শিক্ষক শিক্ষিকারা কেউই। কাজেই স্কুল নিয়েই অনিশ্চিয়তা বাড়ছে এলাকাতে। ১৯০০ ছাত্রছাত্রীর পড়াশোনা বন্ধ হয়ে রয়েছে।

শুক্রবার ইসলামপুরে বৈঠক করে মহকুমাশাসকের দ্বারস্থ হয়েছিলেন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। ছিলেন স্কুলের সমস্ত শিক্ষক শিক্ষকারাই। ইসলামপুরের বিবেকানন্দ সভাগৃহে মিনিট দশেক কথা বলেই বেরিয়ে যান মহকুমাশাসক মণীশ মিশ্র। মণীশবাবু এবং এলাকার বিধায়ক তৃণমূলের কানাইয়ালাল অগ্রবাল ঘটনার দায় চাপিয়েছেন প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ কুণ্ডুর উপরে। অভিজিৎবাবু সে সম্পর্কে কিছু বলতে চাননি।

এ দিন ইসলামপুরের বিধায়কের কাছে গিয়ে ক্ষোভের মুখেই পড়তে হয় প্রধান শিক্ষককে। স্কুল শিক্ষা দফতরে যাওয়ার পরামর্শ দেন বিধায়ক। প্রধান শিক্ষক কেন নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে উদ্যোগী হয়েছিলেন, তা জানতে চান। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তরফে কিছু যুক্তি দেওয়ার চেষ্টা হলে তা শুনতে চাননি বিধায়ক। পরে বিধায়ক বলেন, ‘‘নিয়োগ নিয়েই ওই সমস্যা তৈরি হয়েছে। প্রধান শিক্ষকের জেল হওয়া উচিত। তবে স্কুল খোলার বিষয়ে চেষ্টা চালাচ্ছি। পুজোর মধ্যেই সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করব।’’

তবে নিহত তাপসের মা মঞ্জুদেবী ও রাজেশের মা ঝরনাদেবী বলেন, ‘‘সিবিআই তদন্তের দাবি মানা না হলে স্কুলের গেট কোনও ভাবেই খুলতে দেব না।’’ প্রধান শিক্ষক অবশ্য বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়েই সব স্তরে আলোচনা চালাচ্ছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন