বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে ও হচ্ছে বলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ জমা পড়েছে। সেই সব অভিযোগের ভিত্তিতে রিপোর্ট চেয়ে অতীতে রাজ্য সরকারের কাছে বারবার চিঠি পাঠিয়েছে কমিশন। কিছু ক্ষেত্রে রিপোর্ট জমা পড়েছে, কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই পড়েনি। আবার কোনও কোনও ক্ষেত্রে অভিযোগের শুনানিই হয়নি। এ বার রাজ্যে এসে সেই সব মামলার শুনানি করতে চলেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
ওই কমিশন সূত্রের দাবি, বেশ কিছু রাজ্যে এই ধরনের শুনানি হলেও পশ্চিমবঙ্গে এই প্রথম এমন শুনানির ব্যবস্থা হচ্ছে। সেখানে কমিশনের চেয়ারপার্সন, সদস্য, আইন অফিসার উপস্থিত থেকে নিজেরাই শুনানি করবেন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এই সফরকে রাজ্য সরকার মোটেই হাল্কা ভাবে নিতে চাইছে না। প্রশাসনের অন্দরের খবর, বিভিন্ন দফতরকে কমিশনের সামনে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১৩ এবং ১৪ ডিসেম্বর বিভিন্ন বকেয়া বিষয়ের শুনানি হবে। প্রশাসনিক কর্তাদের অনেকেরই ধারণা, বকেয়া বিষয়গুলির মধ্যে মানবাধিকার সংক্রান্ত অভিযোগ তো রয়েছেই। কোনও কোনও ক্ষেত্রে রিপোর্ট নিয়ে কমিশনের কিছু বক্তব্যও থাকতে পারে। আবার অনেকের ধারণা, কমিশন যে-সব রিপোর্টে চেয়েও পায়নি, তা নিয়েও ব্যাখ্যা দিতে হতে পারে। সেই কারণে ওই দু’দিন সংশ্লিষ্ট সরকারি দফতরগুলির দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের থাকতে বলা হয়েছে।
কোন কোন মামলার শুনানি হবে, তার একটি তালিকা ইতিমধ্যেই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে রয়েছে পূর্ব–পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, কলকাতা, মুর্শিদাবাদ, জলপাইগুড়ি, হুগলি, আসানসোল-সহ বিভিন্ন জেলার মামলা। কমিশনের সফরকে কেন্দ্র করে ব্যবস্থাপনায় খামতি রাখতে চাইছে না রাজ্য। মঙ্গলবার সরকারি প্রতিনিধিরা গোটা ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখেছেন।