—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
রাজ্যে নতুন করে কলেজ তৈরির প্রয়োজন আছে বলে মনে করছে না শিক্ষা দফতর। বিধানসভায় মঙ্গলবার এই ইঙ্গিত দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছেন, ‘‘চলতি শিক্ষাবর্ষে রাজ্যের কলেজগুলিতে অর্ধেক আসন ফাঁকা। ফলে, পরিকাঠামো ও অন্যান্য ক্ষেত্রে বিনিয়োগের আগে তো তা বিবেচনা করতেই হবে।’’
রাজ্যে চলতি শিক্ষাবর্ষে স্নাতক স্তরে পড়াশোনার চাহিদা কমেছে। অন্তত সরকারি তথ্য সে কথাই বলছে। বিধানসভায় এ দিন এই সম্পর্কিত তথ্য দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় ভাবে অনলাইন ব্যবস্থায় এ বার সাড়ে পাঁচ লক্ষ ছাত্রছাত্রী ভর্তি হয়েছেন। কিন্তু সাড়ে চার লক্ষের মতো আসন ফাঁকা পড়ে আছে।’’ মন্ত্রীর ব্যাখ্যা, ইঞ্জিনিয়ারিং বা অন্য বৃত্তিমূলক শিক্ষায় আগ্রহের কারণে কলেজে আসন পূরণ হচ্ছে না। কয়েক বছর ধরেই এই প্রবণতা নজরে আসছে। ফলে, নতুন করে কলেজ তৈরির ভাবনা প্রয়োজনীয় নয় বলেই মনে করছে শিক্ষা দফতর।
ছাত্র সংগঠন ডিএসও অবশ্য এই পরিস্থিতির জন্য সরকারকেই দায়ী করছে। সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায়ের মতে, ‘‘স্নাতকে চার বছরের ডিগ্রি কোর্স চালু করা, শিক্ষার ব্যাপক ব্যয় বৃদ্ধি এবং শিক্ষান্তে কর্মসংস্থানের কোনও ব্যবস্থা না থাকা— এগুলোই স্নাতক স্তরে আসন অর্ধেকেরও বেশি ফাঁকা থাকার প্রকৃত কারণ বলে আমরা মনে করি।’’ তাঁর দাবি, শিক্ষামন্ত্রী এই বিষয়গুলিকে আড়াল করতেই নানা যুক্তি দিচ্ছেন।
বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর-পর্বে তৃণমূল কংগ্রেসের বজবজের বিধায়ক অশোক দেব তাঁর নির্বাচনী কেন্দ্রে একটি কলেজ তৈরির জন্য মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। প্রাক্তন ছাত্র-নেতা অশোকের বক্তব্য, ‘‘বজবজে একটি মাত্র কলেজ রয়েছে। কিন্তু স্থানীয় মানুষের চাহিদার কথা বিবেচনা করে আরও একটি কলেজের কথা ভাবতে পারে শিক্ষা দফতর।’’ তাঁর জবাবেই শিক্ষামন্ত্রী এই তথ্য ও বিশ্লেষণ জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে, তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে রাজ্যে কলেজের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে