State News

জয়া দত্ত পদে নেই? ‘জানেনই না’ পার্থ

গত বুধবার সন্ধ্যায় জানা গিয়েছিল, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের শীর্ষ পদ থেকে জয়াকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল চেয়ারপার্সন তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০১৮ ২১:৫৭
Share:

জয়া দত্তের অপসারণের খবর তিনি শুধুমাত্র সংবাদমাধ্যমেই দেখেছেন বলে বিধানসভায় দাবি করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

পাঁচ দিন আগে জানা গিয়েছিল, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভানেত্রীর পদ থেকে অপসারিত হয়েছেন জয়া দত্ত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই জয়াকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছিল। কিন্তু সোমবার তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বললেন, দলনেত্রী এমন কোনও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে দলীয় স্তর থেকে অন্তত জানতে পারেননি তিনি। জয়ার অপসারণের খবর তিনি শুধুমাত্র সংবাদমাধ্যমেই দেখেছেন বলে বিধানসভায় পার্থবাবু এ দিন দাবি করেন।

Advertisement

গত বুধবার সন্ধ্যায় জানা গিয়েছিল, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের শীর্ষ পদ থেকে জয়াকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল চেয়ারপার্সন তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভর্তি দুর্নীতির প্রেক্ষিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা, দলের অনুমোদন ছাড়াই তৃণমূল ভবনে ছাত্র সংগঠনের বৈঠক ডাকা, নিজের সিদ্ধান্তে চারটি কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ইউনিট ভেঙে দেওয়া— এমন নানা কারণে জয়ার উপরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত বিরক্ত বলে জানা গিয়েছিল। সেই কারণেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জয়াকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন বলে শোনা গিয়েছিল। কিন্তু সোমবার পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিধানসভায় যা বললেন, তার সারকথা হল— মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন কোনও নির্দেশের কথা দলের কোনও স্তর থেকেই তিনি জানতে পারেননি।

পার্থ এ দিন বলেন, ‘‘জয়াকে অপসারণের খবর আমি সংবাদমাধ্যমে দেখেছি। তখন আমি শারীরিক ভাবে অসুস্থ ছিলাম।’’ তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমন কোনও নির্দেশই দেননি, সে কথাও পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেননি। তাঁর কথায়, ‘‘দলনেত্রীর সঙ্গে কথা বলব। যদি তিনি কোনও সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, তা হলে সেটা পুনর্বিবেচনার জায়গা নেই।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: বৈঠকে অনুপস্থিত ১৪ জেলা, রাজ্য নেতৃত্বের সামনেই তীব্র অসন্তোষ কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতার

আরও পড়ুন: জ্যোতি বসুর জন্মদিনে বিধানসভায় শ্রদ্ধা জানালেন মাত্র ২ জন সিপিএম বিধায়ক!

জয়া দত্তকে সরানো হয়েছে বলে যে দিন জানা গিয়েছিল, সে দিন এ-ও জানা গিয়েছিল যে, পরবর্তী ১০ দিনের মধ্যে নতুন সভাপতির নাম চূড়ান্ত করা হবে। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে শোনা যাচ্ছে, নতুন কোনও সভাপতি নয়, ছাত্র সংগঠনের শীর্ষ পদে জয়াকেই পুনর্বহাল করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অপসৃত হওয়ার পরে জয়া আত্মপক্ষ সমর্থনে কিছু কথা পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলেছেন বলে জানা যায়। সে সব কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও পৌঁছেছে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর পাওয়া যায়। তার পরেই জয়ার পুনর্বহাল হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে চর্চা শুরু হয়।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বিষয়টি নিয়ে এখনও সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ্যে কিছু বলেননি। জয়ার অপসারণ বা জয়ার পুনর্বহাল— কোনও প্রসঙ্গেই মিডিয়ার সামনে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু বলতে দেখা যায়নি তাঁকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement