প্রতীকী ছবি
আর ম্যাস্টিক অ্যাসফল্ট নয়, পিচের রাস্তাতেই ফিরতে চলেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর, সম্প্রতি কলকাতা পুরসভা, কেএমডিএ, পূর্ত দফতর-সহ সড়ক পরিকাঠামো তৈরিতে যুক্ত সব ক’টি বিভাগকেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিগত কয়েক বছর ধরেই বিশেষত শহরের রাস্তা তৈরির সময় বিটুমিনের পরিবর্তে ম্যাস্টিকই বেশি ব্যবহার করা হচ্ছিল। কারণ, ম্যাস্টিকের রাস্তা অনেক টেকসই। কিন্তু নবান্নের ব্যাখ্যা হল, ম্যাস্টিকের রাস্তা আপাত ভাবে মজবুত হলেও তার আড়ালে কারচুপি অনেক সহজেই করা যায়। এমন বহু অভিযোগ রাজ্যের কাছে আসার পরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রশাসনের এক কর্তা জানান, ভাঙা রাস্তার উপরিভাগ মেরামত করার পরে পিচ বা ম্যাস্টিকের আস্তরণ দেওয়া উচিত। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে মেরামত না করেই ম্যাস্টিকে রাস্তা মুড়ে ফেলা হচ্ছে। ফলে দেখা না গেলেও ম্যাস্টিকের নীচে রাস্তার গর্ত থেকেই যাচ্ছে।
অনুসন্ধান করে সরকার জানতে পেরেছে, রাস্তা তৈরির সময় বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতির কারণেই ‘রাইডিং কোয়ালিটি’ ঠিক থাকছে না। ম্যাস্টিকের রাস্তায় বসানো পাথরের কারণে যানবাহনের গতি বাধাপ্রাপ্ত হয়, তাতে তেল বেশি পুড়ে দূষণও বাড়ায়। আবার কিছু দিন ব্যবহারের পর ম্যাস্টিকের রাস্তার পাথর ক্ষয়ে মসৃণ হয়ে যায়। তাতে দুর্ঘটনাও ঘটে। এই সব কারণে বিকল্প হিসেবে বিটুমিন বা কংক্রিটের রাস্তা তৈরিতে জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার।
প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘‘ইঞ্জিনিয়ারদের বিকল্প ভাবনা থাকতেই পারে। তাঁরা গবেষণা করে তথ্যপ্রমাণ দিয়ে প্রস্তাব দিন, সরকার খতিয়ে দেখবে। আপাতত নতুন রাস্তা তৈরি করতে বিটুমিনই ব্যবহার করতে হবে।’’