আপাতত ভোট নয়, এগারো পুরসভায় প্রশাসক

রাজ্য সরকার মেয়াদ শেষ হতে চলা ওই ১১টি পুরসভায় প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় মুখর হয়েছে বিরোধী শিবির। তাদের বক্তব্য, এই মুহূর্তে ভোট করতে ‘ভয়’ পাচ্ছে বলেই প্রশাসক বসিয়ে নির্বাচন এড়ানোর রাস্তা নিল তৃণমূল সরকার।

Advertisement

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ

শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০১৮ ০৩:২০
Share:

—প্রতীকী ছবি

পুরসভার নির্বাচিত বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে আবার নির্বাচন করার কথা। কিন্তু রাজ্যে এই ধরনের ১১টি পুরসভায় আপাতত ভোট নয়! তার বদলে পুরসভাগুলির দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে প্রশাসকদের হাতে।

Advertisement

রাজ্য সরকার মেয়াদ শেষ হতে চলা ওই ১১টি পুরসভায় প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় মুখর হয়েছে বিরোধী শিবির। তাদের বক্তব্য, এই মুহূর্তে ভোট করতে ‘ভয়’ পাচ্ছে বলেই প্রশাসক বসিয়ে নির্বাচন এড়ানোর রাস্তা নিল তৃণমূল সরকার।

আলিপুরদুয়ার, মেখলিগঞ্জ, হলদিবাড়ি, ডালখোলা, বালুরঘাট, চাকদহ, পানিহাটি, হাবড়া, ডায়মন্ড হারবার, দুবরাজপুর ও বর্ধমান পুরসভার নির্বাচিত বোর্ডের মেয়াদ কয়েক দিনের মধ্যেই শেষ হচ্ছে। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, পুজোর ছুটির পরে, ২২ থেকে ২৫ অক্টোবরের মধ্যে ওই ১১টি পুরসভায় দায়িত্ব নেবেন প্রশাসকেরা। পুর-নগরোন্নয়ন দফতর ৯ অক্টোবর এই নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করবেন মহকুমাশাসকেরা। পুরসভার দৈনন্দিন কাজ ও নাগরিক পরিষেবা তাঁরাই দেখবেন।

Advertisement

ভোট নয় কেন? রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘রিগিং না-করলে জেতা সম্ভব নয়। আবার রিগিং বা মারামারি করলে ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। তাই এখন ভোট না-করে সরকার তাদের সুবিধামতো সময়ে তা করাতে চাইছে।’’ একই সুর বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর গলায়। ‘‘কলেজে নির্বাচন হল না। অক্টোবরে আর যে-সব ভোট ছিল, সেগুলিও করল না সরকার। ভয় তো পাচ্ছেই। তারা সেখানেই ভোটে যাবে, যেখানে সুবিধা করতে পারবে,’’ বলছেন সুজনবাবু। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের বক্তব্য, কোনও সরকার যখন মানুষের মুখোমুখি হতে চায় না, তখনই নির্বাচন স্থগিত করতে চায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন