প্রতীকী ছবি।
তৃণমূলের আমলে কারা চাকরি পেয়েছেন? কাদের, কিসের ভিত্তিতে দেওয়া হয়েছে সেই চাকরি?
উত্তর ২৪ পরগনায় নির্বাচনের ফল বিশ্লেষণে বসে দলের অন্দরে এই প্রশ্নের মুখে পড়লেন তৃণমূল নেতৃত্ব। মঙ্গলবার ব্যারাকপুর ও বনগাঁয় হারের পর্যালোচনায় বসেছিল দলের জেলা নেতৃত্ব। এই কেন্দ্রের অন্তর্গত নেতা ও বিধায়কদের উপস্থিতিতে এইরকম একগুচ্ছ প্রশ্ন উঠেছে। সরকারি চাকরি নিয়ে এই অপ্রিয় প্রশ্ন তুলেছিলেন মধ্যমগ্রাম পুরসভার এক কাউন্সিলর।
এ দিনের বৈঠকে শুরুতে দলের ত্রুটি চিহ্নিত করে প্রথম সরব হন মন্ত্রী তাপস রায়। বরানগরের বিধায়ক তাপস দলের ভিতরে ও প্রশাসনে স্বজনপোষণ ও অদক্ষতার অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘নেতাদের বাড়িতে যান, তাঁদের প্রণাম করেন—এমন লোকেরাই সংগঠনের বিভিন্ন পদ পাচ্ছেন। ফলে যোগ্য লোকেরা বাইরেই থেকে যাচ্ছেন। এভাবে পছন্দের বৃত্তে থাকা লোকেদের দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু তাঁরা এইরকম নির্বাচনে দলের কাজে আসেন না।’’ জেলায় পুলিশ ও প্রশাসনের কাজ পরিচালনায় নেতাদের ব্যর্থতার কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘‘আমি বাম জমানায় দশ বছর স্বরাষ্ট্র স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ছিলাম। কিন্তু বুঝতেই পারি না এখন পুলিশ পোস্টিং কীসের ভিত্তিতে হয়!’’ থানা- পুলিশের এই ব্যবস্থায়ও ব্যক্তিগত স্বার্থরক্ষা করা হচ্ছে বলেও ইঙ্গিত করেন তিনি।
ব্যারাকপুরে সাংগঠনিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। নেতৃত্বের এই সমালোচনায় বৈঠকেই আবেগতাড়িত হয়ে সাংগঠনিক দায়িত্ব ছেড়ে দিতে চান জেলা দলের সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সভাপতি হিসেবে দুই কেন্দ্রে পরাজয়ের দায় নিয়ে সরে যেতে চান তিনি। তবে অন্য নেতাদের আপত্তিতে সে কথা এগোয়নি।
দলের শক্তঘাঁটি হিসেবে চিহ্নিত সাতটি বিধানসভা আসন নিয়েই সঙ্কটে পড়েছে তৃণমূল। সাংগঠনিক প্রভাব শিথিল হওয়ার পাশাপাশি এই বিস্তীর্ণ এলাকায় বিজেপির বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করেছেন নেতারা। তার পরই ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সংগঠনের কাজ দেখতে একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে।