গণপিটুনি: শিশুর শ্লীতাহানির অভিযোগে প্রহার। —নিজস্ব চিত্র।
বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের এক চার বছরের ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে স্কুলেরই এক ক্লার্ককে গণধোলাই দিল উত্তেজিত জনতা। মঙ্গলবার দুপুরে ইংরেজবাজার শহরের মহেশমাটি এলাকায় ওই স্কুল কর্তৃপক্ষকে ঘেরাও করে বিক্ষোভও দেখায় অভিভাবকরা।
ঘটনার জেরে এ দিন দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় ওই বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে। পরে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ গিয়ে অভিযুক্ত ক্লার্ককে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, এ দিনই দুপুরে স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত ক্লার্ক বিশ্বজিৎ দাসের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ইংরেজবাজার শহরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ড মহেশমাটিতে ওই ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে প্রায় তিন বছর ধরে ক্লার্কের কাজ করছেন বিশ্বজিৎ। বছর ৩০ এর ওই যুবক শহরের রামকিঙ্কর এলাকার বাসিন্দা।
এখনও অবিবাহিত বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগ, স্কুলের ওই নার্সারির ছাত্রীকে বেশ কিছু দিন ধরে বিশ্বজিৎ যৌন নির্যাতন করছিল। সোমবারও মেয়েটিকে যৌন নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, মেয়েটির বাবা ও মা দু’জনই হাইস্কুলের শিক্ষক। এ দিন রাতে মেয়ের শরীরে আঁচড়ের দাগ দেখতে পেয়ে পুরো বিষয়টি জানতে পারেন তাঁরা।
তারপরই এ দিন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ স্কুলে এসে কর্তৃপক্ষকে গোটা বিষয়টি জানান তাঁরা। শুরু হয় বিক্ষোভ। অভিভাবকদের একাংশ ওই ক্লার্ককে রাস্তায় ফেলে মারধর শুরু করে। এলাকা জুড়ে উত্তেজনা ছড়ায়। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। মালদহ মেডিক্যাল কলেজে প্রাথমিক চিকিৎসার পর অভিযুক্তকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। ঘটনার পর স্কুল কর্তৃপক্ষের ভুমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অন্যান্য পড়ুয়ার অভিভাবকরাও।
নির্যাতিতা শিশুটির বাবা বলেন, ‘‘আমার মেয়ের সঙ্গে এমন আচরণ করা হল, অথচ স্কুল কর্তৃপক্ষ কিছুই জানতে পারল না, এটা আমরা মেনে নিতে পারছি না।’’ স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সুধা বৈদ্য বলেন, ‘‘আমরা বিশ্বজিৎ এর নামে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। যাতে তার আইন অনুযায়ী শাস্তি হয়।’’ মালদহের পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ বলেন, ‘‘পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’’