প্রতীকী ছবি।
শিলিগুড়িতে করোনা সংক্রমণ মিলল আরও ১০ জনের শরীরে। যার মধ্যে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন সাত জন। মঙ্গলবার তাঁদের দেহে সংক্রমণের রিপোর্ট মেলে। তার মধ্যে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চার জন চিকিৎসক এবং এক জন ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান। এ ছাড়া মাটিগাড়ার কোভিড হাসপাতালের সুপার এবং সেখানকার আরও ৩ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ মিলেছে। কাওয়াখালির সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশন (সারি) কেন্দ্রে ভর্তি এক রোগীর দেহে সংক্রমণ মিলেছে। তিনি ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডে মাল্লাগুড়ি এলাকার বাসিন্দা। তাতে শিলিগুড়ি পুর এলাকা এবং দার্জিলিং জেলা মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৫০ জনে।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের একাধিক চিকিৎসক, টেকনিশিয়ানের করোনার সংক্রমণ মেলায় তা নিয়ে উদ্বিগ্ন কর্তৃপক্ষ। এতে করোনার চিকিৎসার পরিষেবা দেওয়ার কাজ ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা। কেন না, একযোগে যে চার জন চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের অনেকেই করোনা রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত। তার মধ্যে এক জন প্রসূতি বিভাগের পোস্ট গ্র্যাজুয়েটের পড়ুয়া, এক জন হাউজ স্টাফও রয়েছেন। বাকি দু’জন সম্প্রতি পাশ করেছেন। হাউজ স্টাফশিপ শুরু করবেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, তা ছাড়া ওই চিকিৎসকদের সংক্রমণ মেলায় তাঁদের সংস্পর্শে আসা অন্তত ১২ জন ইন্টার্ন এবং ১৯ জন নার্সকে কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়েছে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার কৌশিক সমাজদার বলেন, ‘‘বিষয়টি অবশ্যই চিন্তার। কেন না, চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মীরা আক্রান্ত হলে পরিষেবা দেওয়ার কাজে সমস্যা তৈরি হবে। তাঁদের সঙ্গে যারা কাজ করেছেন, তাঁদেরও কোয়রান্টিনে পাঠাতে হচ্ছে। তাতে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীর অভাব ঘটবে।’’
একযোগে কয়েক জন চিকিৎসকের সংক্রমণ ঘটা নিয়ে উদ্বিগ্ন চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের সকলেই। এর আগে হাসপাতালের দুই নার্সের দেহে সংক্রমণ মিলেছিল। এক নার্সের পরিবারেও সংক্রমণ ছড়িয়েছিল। যদিও তাঁরা সুস্থ হয়ে কাজে যোগ দিয়েছেন আগেই।
অন্য দিকে, কোভিড হাসপাতালের সুপার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টিতেও উদ্বেগে সেখানকার চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরা। সুপার ছাড়া সেখানকার এক ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান আক্রান্ত হয়েছেন। তা ছাড়া হাসপাতাল পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত এক ব্যক্তি এবং খাবার সরবরাহ করার কাজে যুক্ত অপর এক ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। দিন কয়েক আগে এই হাসপাতালের আরেক জন ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ানের দেহে সংক্রমণ মিলেছিল।
এ দিন সারি হাসপাতালে ভর্তি করোনা সন্দেহভাজন এক মহিলার মৃত্যু হয়। পরে লালারসের রিপোর্ট এলে জানা যায়, তাঁর দেহে কোনও সংক্রমণ নেই। মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।