হাটের মধ্যে বোমা ছুড়ে বন্দুক থেকে আচমকা ছররা গুলি চালানোয় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্র সহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ ইসলামপুর থানার আগডিমঠি খুন্তি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাটুগছ এলাকার ঘটনা। তৃণমূলের অন্দরের খবর, ওই এলাকায় একটি মাদ্রাসার দখলকে ঘিরে এক গোষ্ঠী অন্য পক্ষের উপরে গুলি-বোমা নিয়ে হামলা চালিয়েছে। জখমদের সকলকে ইসলামপুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। আহতদের মধ্যে ছাত্রটি ছাড়া সকলেই তৃণমূলের কর্মী বলে দল সূত্রে দাবি করা হয়েছে। সকলেই হাটে গিয়েছিলেন। ছাত্রটি পরীক্ষার পরে হাট হয়ে বাড়িতে ফিরছিল। পুলিশ জানায়, আহতদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা গুরুতর। উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার অমিত কুমার ভরত সিং রাঠৌর বলেন, ‘‘বিশদে তদন্ত হচ্ছে। এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সব রকম পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’
ওই এলাকায় একটি মাদ্রাসার পরিচালন সমিতি তৃণমূলের দখলে রয়েছে। ইসলামপুর পুরসভার কাউন্সিলর করিম চৌধুরীর ছেলে মেহেতাব চৌধুরী বলেন, ‘‘এর আগেও মাদ্রাসা নিয়ে একটি গণ্ডগোল করার চেষ্টা করেছিল। এর আগে যারা গণ্ডগোল করেছিল তারা এক সময়ে কংগ্রেস করত। পরে দল বদল করে। তারাই সম্ভবত ওই ঘটনায় জড়িত রয়েছে।’’ ইসলামপুরের আরেক তৃণমূল নেতা তথা হালে কংগ্রেস থেকে যোগদানকারী কানাইয়ালাল অগ্রবালের অনুগামী জাকির হুসেন বলেন, ‘‘এর পিছনে গোষ্ঠী কোন্দল নেই। বিরোধী দলের লোকেরাই গণ্ডগোল করেছে। তাতে মদত দিয়েছে কিছু তৃণমূল কর্মী।’’
আহতদের মধ্যে একজন শেখ মুজাম্মিল জানান, সন্ধ্যায় হাটের মধ্যেই এসেই কয়েকজন যুবক গুলি চালিয়ে উধাও হয়ে যায়। সেই সময় ইসলামপুর ভুজাগাঁও মাদ্রাসা থেকে পরীক্ষা দিয়ে বাজার করে বাড়ি ফিরছিল সাইদুল। গুলির আঘাতে সেও আহত হয়। ইসলামপুর থানার আইসি সুকুমার ঘোষ বলেন, একটা গণ্ডগোলের খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। কি কারণে ওই গণ্ডগোল তা খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে. গুলির ও বোমার বিষয়টিও খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’