দু’জনেই টোটো চালক। একজনের তৎপরতায় অচেনা যুবকের খপ্পর থেকে উদ্ধার হয়েছেন এক তরুণী। অন্যজন, কলেজ ছাত্রীদের অশালীন অঙ্গভঙ্গি করে হাজতে গিয়েছে।
দু’টি ঘটনাই বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ির। এ দিন দুপুরে টোটো চালিয়ে সোজা জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় ঢুকে যান রাজু চক্রবর্তী। টোটোতে বসে এক যুবক-যুবতী। রাজুবাবু জানান, টাউন স্টেশনের সামনে থেকে দু’জন টোটোতে চাপেন। কথাবার্তা শুনে বোঝা যাচ্ছিল যুবকের ডাকে যুবতী জলপাইগুড়ি এসেছেন। যুবতীটি যতই কোচবিহারের বাসস্ট্যান্ডে যাওয়ার কথা বলে, যুবকটি বাধা দিয়ে শিলিগুড়ি নিয়ে যেতে চায় বলে রাজুবাবুর অভিযোগ। পুলিশ জেরায় জেনেছে যুবতী কোচবিহারের বাসিন্দা। যুবতীর সঙ্গে থাকা যুবক মহাদেব মাল-কে পুলিশ আটক করেছে। সে মেদিনীপুরের বাসিন্দা। পুলিশের দাবি, দু’জনেই পূর্বপরিচিত। পুলিশ জানিয়েছে, গত বুধবার সকালে মহাদেব কোচবিহারে যায়। যুবতীকে সঙ্গে নিয়ে এ দিন জলপাইগুড়িতে ঘুরতে আসে। পুলিশের কাছে যুবতীর দাবি, জলপাইগুড়িতে আসার পরে যুবকের আচরণ দেখে যুবতীর মনে সন্দেহ জন্মায়। টোটোচালক রাজুর কথায়, ‘‘যুবকের কুমতলব আঁচ করে সোজা থানায় চলে যাই।’’
ক্লাব রোডে প্রসন্ন দেব মহিলা (পিডি) কলেজের সামনে থেকে এ দিন সকালেই সুজিত দত্ত নামে আরেক টোটো চালককে পাকড়াও করে পুলিশ। অভিযোগ, হস্টেলের পাশ দিয়ে চলে যাওয়ার সময় রাস্তায় দাড়িয়ে মাঝে মধ্যেই ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে অশালীন অঙ্গভঙ্গি করত সে। তার কীর্তি মোবাইল ভিডিও করে ছাত্রীরা কলেজ কর্তৃপক্ষকে জমা দেয়।