Clash

দু’বিঘা জমি নিয়ে সে কী রক্তারক্তি কাণ্ড! মালদহে জখম ১৩, ছুটে গেল বিশাল পুলিশবাহিনী

বিনা যুদ্ধে কেউই জমি ছাড়তে চায় না। দু’পক্ষই বলছে জমি তাদের। হাসপাতালে ভর্তি ১৩ জনের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা সঙ্কটজনক বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হরিশ্চন্দ্রপুর শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২২ ১২:৫৫
Share:

জমি নিয়ে মারামারি। রণক্ষেত্র এলাকা। —প্রতীকী চিত্র।

দু’বিঘা জমি নিয়ে দু’পক্ষের বিবাদ। প্রথমে কথা কাটাকাটি। তার পর বচসা গড়াল মারামারিতে। রক্তারক্তি- কাণ্ড মালদহ জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরে। ঘটনায় আহত হলেন দু’পক্ষের মোট ১৩ জন। উত্তেজনা প্রশমনে ঘটনাস্থলে গেল বিশাল পুলিশবাহিনী।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, মালদহ জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের লক্ষ্মণপুর-মিসকিমপুর এলাকার বাসিন্দা রাহানুল এবং আফতাবউদ্দিন জমি নিয়ে বিবাদ দীর্ঘ দিনের। দু’বিঘা জমির মালিকানা নিয়ে এই ঝামেলা চলছে টানা তিন মাস। অবশেষে মঙ্গলবার সকাল সকাল রণক্ষেত্রের চেহারা নিল এলাকা। ঝামেলার কথা শুনে ছুটে আসে পুলিশ।

মঙ্গলবার সকালে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ গিয়ে দু’পক্ষকে উপযুক্ত কাগজপত্র নিয়ে আসতে বলা হয়। সে সময় জমিতে বেড়া দেওয়ার চেষ্টা করছিল এক পক্ষ। কিন্তু পুলিশ চলে যাওয়ার পরে আবার উত্তেজনা ছড়ায়। দু’পক্ষ আর বচসায় না থেমে থেকে শুরু করে হাতাহাতি। মারামারিতে এক পক্ষের ৬ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের নাম রাহানুল হক, শেখ উজ্জ্বল, মুফিলুউদ্দিন, শেখ লতিফুর, হাসবি বিবি এবং শেখ নঈমুউদ্দিন। অপর পক্ষে, রক্তাক্ত হয়েছেন ৬ জন। শেখ আফতাবউদ্দিন, শেখ সাহাবুদ্দিন, তারিক আনোয়ার, তাকিম আলি, করিমউদ্দিন এবং এনামুল হক। সূত্রের খবর, দুই পক্ষের ৪ জনের অবস্থা যথেষ্ট গুরুতর। আহতরা হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

Advertisement

উভয় পক্ষই একে অপরকে দোষারোপ করছে। আহতদের এক পক্ষের তরফে শিউলি খাতুন বলেন, ‘‘জমিটা আমাদের। ওরা গায়ের জোরে দখল করে রেখেছে। কোনও কাগজপত্র দেখাতে পারবে না। কিন্তু বাধা দিতে গেলেই মারধর করছে।’’ অন্য পক্ষের রাজীব হক বলেন, ‘‘জায়গাটা আমাদের দাদুদের। ওরা জোর করে জমি দখল করে রেখেছে। পুলিশ এসে কাগজপত্র দেখাতে বলার পরই ঝামেলা শুরু করে।’’ তার পরের জোরের সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আমরা আমাদের জমি নেব।’’ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন