জখম মহম্মদ রহমতুল্লা। সোলপাড়ায়। নিজস্ব চিত্র
গ্রামে অভিযান চালাতে গিয়ে আক্রান্ত হল পুলিশ। ভাঙচুর করা হল পুলিশের গাড়িও। দুই ক্ষেত্রেই অভিযোগ উঠল গ্রামবাসীর একাংশের বিরুদ্ধে। সোমবার ভোরে গোয়ালপোখর থানার সোলপাড়ার ঘটনা। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশকে কয়েক রাউন্ড রবার বুলেট ছুড়তে হয়। বুলেটের আঘাতে দু’জন গ্রামবাসী জখম হন। গ্রামে তল্লাশির নামে পুলিশ অত্যাচার চালিয়েছে অভিযোগ তুলে সোলপাড়ায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এক গরু পাচারকারী সোলপাড়ার ডাঙ্গি গ্রামের এক বাসিন্দার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে খবর পেয়ে হানা দিয়েছিল পুলিশ। অভিযানের সময় এক পুলিশকর্মীকে আটক করে রাখেন বাসিন্দারা। খবর পেয়ে গোয়ালপোখর থানার ওসি অভিজিৎ দত্ত-সহ বিরাট পুলিশবাহিনী এলাকায় গেলে তাদের ঘিরে ধরা হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ও ঢিল ছোড়া হয়। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে টায়ার জ্বালানো হয়। হামলায় আহত হন ওসি-সহ চারজন পুলিশকর্মী।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পুলিশ পাচারকারীদের ধরার নাম করে রাতের অন্ধকারে তাণ্ডব চালাচ্ছে। মহিলাদের উপর পুলিশ লাঠি চালাচ্ছে। অভিযোগ, পুলিশ এ দিনও নিরীহ বাসিন্দাদের বাড়িতে ঢুকে তল্লাশির নামে মারধর করেছে। নিরীহ দুই গ্রামবাসীকে ধরে নিয়ে গিয়েছে। পুলিশের ছোড়া রবার বুলেটে স্থানীয় গ্রামবাসী মহম্মদ রহমতুল্লা এবং আব্দুল মালেক জখম হন। এরই প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান হয়। স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার আশ্বাসে অবরোধ ওঠে।
সংঘর্ষ: রবার বুলেটের খোল নিয়ে সড়ক অবরোধ।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কার্তিকচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘পুলিশের কাছে খবর ছিল ওই গ্রামে বাংলাদেশি গরু পাচারকারী আশ্রয় নিয়েছে। পুলিশ হানা দিতে গেলে পুলিশের উপর হামলা করে দুষ্কৃতীরা। পুরো ঘটনার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’ পুলিশ সুত্রের খবর, ধৃতদের বিরুদ্ধে পুলিশের উপর হামলা, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট এবং গরু পাচারের অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে।