ভোট কেন্দ্রের আশেপাশে যাওয়া আসাতে নিষেধাজ্ঞা জারি হল আরও ২৩ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। শুক্রবার দার্জিলিঙের মহকুমা শাসকের আদালত থেকে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ভোটের দিন শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে এই পদক্ষেপ বলে প্রশাসনের তরফে দাবি করা হয়েছে।
প্রশাসনের দাবি, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সকলেই কোনও না কোনও মামলায় অভিযুক্ত। সে কারণেই আজ রবিবার শুধু নিজের ভোট দিতে যাওয়া ছাড়া অন্য কোনও সময়ে ভোট কেন্দ্রের আশেপাশে তাঁরা থাকতে পারবেন না বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার দার্জিলিঙের মহকুমা শাসকে.র আদালত থেকেই ১৩৫ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করে তাঁদের গতিবিধিতে বিধিনিষেধ জারি হয়। এ দিন সেই তালিকায় যুক্ত হল আরও ২৩ নাম।
দার্জিলিঙের জেলাশাসক জানিয়েছেন, অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে যা যা পদক্ষেপ প্রয়োজন সবই করা হয়েছে।
লোকসভা এবং বিধানসভা ভোটের আগে কমিশনের নির্দেশে ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত ও যাঁদের বিরুদ্ধে পুরনো পরোয়ানা জারি রয়েছে তাঁদের সকলকে গ্রেফতার করতে হয় বা গতিবিধিতে রাশ টানতে হয়। পুরভোটেও এমনই পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ রয়েছে হাইকোর্টের। ওই বিধি মেনেই এই পদক্ষেপ বলে প্রশাসনের দাবি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নোটিশও পাঠানো হয়েছে। আগের তালিকা প্রকাশের পরেই মোর্চা দাবি করে, তাদের কর্মীদের ভয় দেখাতেই এমন তালিকা হয়েছে। এ দিনও মোর্চার অভিযোগ, প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে তৃণমূল ভোটের আগে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে।
গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি বলেন, ‘‘পরিস্থিতিতে নজর রয়েছে। সময় মতো পদক্ষেপ করা হবে।’’ তৃণমূলের পাহাড় কমিটির সভাপতি রাজেন মুখিয়া পাল্টা বলেন, ‘‘এত দিনের ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে পাহাড়ের বাসিন্দারা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ভোট দিতে তৈরি হচ্ছেন, তাই মোর্চা নেতাদের শুধু নজর রাখা ছাড়া উপায় নেই।’’