বেতন পাননি হাসপাতালের তিনশো কর্মী

আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স, অন্য স্বাস্থ্যকর্মী ও সাধারণ কর্মী মিলিয়ে প্রায় তিনশোজন কাজ করেন।

Advertisement

পার্থ চক্রবর্তী

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০১৯ ০৫:০৮
Share:

প্রতীকী ছবি

নতুন মাস শুরুর পর তিনদিন পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও বেতন পাননি হাসপাতালের চিকিৎসক-সহ প্রায় তিনশো কর্মী। তা নিয়েই রীতিমত ক্ষোভ ছড়িয়েছে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই ট্রেজারি দফতরে যোগাযোগ করা হয়েছে। ট্রেজারি দফতরের কর্তারাও জানিয়েছেন, বেতন না পাওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স, অন্য স্বাস্থ্যকর্মী ও সাধারণ কর্মী মিলিয়ে প্রায় তিনশোজন কাজ করেন। প্রতি মাসের শেষ কাজের দিনেই তাঁদের বেতন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে যায়। তারই ব্যতিক্রম হয়েছে গত ফেব্রুয়ারি মাসে। ওই মাসের শেষ কাজের দিন তো বটেই, এমনকি মার্চ মাসের তিনদিন কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত হাসপাতালের চিকিৎসক-সহ কোনও কর্মীর অ্যাকাউন্টেই বেতনের টাকা যায়নি বলে অভিযোগ। বেতন কবে ঢুকবে সে ব্যাপারেও কর্তৃপক্ষ কোনও সদুত্তর দিতে না পারায়, স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে হাসপাতালের অন্দরে।

হাসপাতালের এক কর্মীর কথায়, “ফেব্রুয়ারি মাসটা অন্য মাসের চেয়ে ছোট। কিন্তু তা বলে সংসারের নানা পরিকল্পনা তো আর আটকে থাকে না। আমার বাড়ি বাইরে। বেতন হওয়ার পর প্রতি মাসের শুরুতেই বাড়িতে টাকা পাঠাই। কিন্তু মার্চ মাসের তিনদিন কেটে গেলেও এখনও গত মাসের বেতনটাই পেলাম না। বাড়িতে আর টাকা পাঠাব কী করে?” হাসপাতালের আরেক কর্মীর কথায়, “আচমকা ফেব্রুয়ারি মাসে বেতন না হওয়ায় কতটা যে সমস্যায় পড়েছি তা বোঝাতে পারব না। আগে কবে এমন ঘটনা ঘটেছে মনে করতে পারছি না।”

Advertisement

সমস্যার কথা মেনে নিয়েছেন আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের সুপার চিন্ময় বর্মণও। তাঁর কথায়, “কর্মীরা অনেকেই বেতন না পাওয়া নিয়ে আমার কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। আমি ট্রেজারির আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা বলেছি। ওনারা আমাদের বিল ছেড়েও দিয়েছেন। তারপরও কেন যে এ বার এখনও পর্যন্ত কারও বেতন হল না তা বুঝতে পারছি না।” হাসপাতাল সূত্রের খবর, সুপার-সহ হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্তারাও ফেব্রুয়ারির মাসের বেতন এখনও পর্যন্ত পাননি।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি মাসে নির্দিষ্ট সময়ে কর্মীদের বিল ট্রেজারি দফতরে পাঠাতে হয়। ফেব্রুয়ারি মাসেও ২৩ ফেব্রুয়ারি ট্রেজারিতে বিল পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তারপরও সবার বেতন কী করে আটকে থাকে তা নিয়ে হাসপাতাল কর্মীদের অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। আলিপুরদুয়ার জেলার সিএমওএইচ পূরণ শর্মা বলেন, “এমনটা তো হওয়ার কথা নয়। কেন এটা হল তা খোঁজ নিয়ে দেখব।” আলিপুরদুয়ার ট্রেজারি দফতরের এক আধিকারিক বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন