আদিবাসী মহিলাকে বিবস্ত্র করে গাছে বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠল সাত গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে। প্রতীকী ছবি।
ডাইন অপবাদ দিয়ে এক আদিবাসী মহিলাকে বিবস্ত্র করে গাছে বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠল সাত গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৫ জানুয়ারি রাতে ঘটনাটি ঘটলেও শনিবার বিকেলে ওই মহিলা শামুকতলা থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। আক্রান্তের স্বামী জানান, তাঁর স্ত্রী হাসপাতালে ভর্তি থাকায় তাঁরা থানায় অভিযোগ জানাতে আসতে পারেননি। স্ত্রী হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেতেই তাঁরা থানায় অভিযোগ করেছেন। শামুকতলা থানার ওসি বিরাজ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে। আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।’’
আলিপুরদুয়ারের শামুকতলা থানার কাজিপাড়ার সিঙ্গিমারি গ্রামের ওই মহিলার কথায়, ‘‘সেদিন রাতের কথা ভাবতে গিয়ে এখনও শিউরে উঠছি। সেদিন গ্রামেরই একজনের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে গিয়ে আমি এক শিশুকে আদর করি। কিছুক্ষণ পরেই কয়েকজন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে ওই শিশুটিকে আমি আদর করার পরেই নাকি শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখনই আমাকে ডাইন বলে অপবাদ দিতে শুরু করে ওরা।’’ আক্রান্ত মহিলার অভিযোগ, তাঁকে ধরে নিয়ে গিয়ে একটি গাছের সাথে বেঁধে বিবস্ত্র করে মারধর করা হয়। তাঁর স্বামী বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও তাঁকে জোর করে আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ। গ্রামবাসীরা গুরুতর জখম অবস্থায় ওই মহিলাকে উদ্ধার করে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। মারধরে তাঁরা সারা গায়ে কালশিটে পড়ে গিয়েছে বলেও তিনি জানান। আক্রান্তের কথায়, ‘‘আমি চাই অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।’’
ঘটনায় ওই মহিলার পাশে দাঁড়িয়েছে সাঁওতালপুর আদিবাসী ইউনাইটেড ফোরাম। ওই সংগঠনের অন্যতম কর্মী ধিলান মারান্ডি বলেন, ‘‘ওই দম্পতি দরিদ্র দিনমজুর। আমরা ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে ওই মহিলাকে সব রকম সহযোগিতা করেছি। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর আজ শামুকতলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’’