খুনের পর অপহৃত ব্যবসায়ীও

ক’দিন আগেই আলিপুরদুয়ারে ভরসন্ধ্যায় কুপিয়ে খুন করা হয় এক যুবককে। তারপর এই অপহরণের ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে। এ নিয়ে আলিপুরদুয়ার জেলায় বেশ কয়েকটি অপহরণের ঘটনা ঘটল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০১৮ ০১:৫৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

খুনের রেশ কাটতে না কাটতে অপহরণ আলিপুরদুয়ারে। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ দোকান থেকে সাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে শালকুমার মোড় থেকে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করা হয়। ছোট গাড়িতে ব্যবসায়ীকে তুলে অপহরণকারী চম্পট দেয়।

Advertisement

ক’দিন আগেই আলিপুরদুয়ারে ভরসন্ধ্যায় কুপিয়ে খুন করা হয় এক যুবককে। তারপর এই অপহরণের ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে। এ নিয়ে আলিপুরদুয়ার জেলায় বেশ কয়েকটি অপহরণের ঘটনা ঘটল। ব্যবসায়ীদের উপরে এমন ঘটনায় আতঙ্কিত জেলার ব্যবসায়ীমহল। আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বিষয়টি উদ্বেগের। এর মধ্যে শহরে একটি খুনের ঘটনা ঘটেছে, তাঁর আগে দমনপুরে ব্যাঙ্ক ডাকাতি, চা-বাগানে শ্রমিকের আঠাশ লক্ষ টাকা লুঠ। পর পর বড় ধরনের অপরাধ মূলক ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সুপারকে কড়া পদক্ষেপ করতে বলেছি।’’

পুলিশ সূত্রে জানাগিয়েছে, আলিপুরদুয়ার থানার পলাশবাড়ি বাজারে সাপ্তাহিক হাটে চালের গদি থেকে ফিরছিলেন ব্যবসায়ী স্বপন দাস। তিনি ও তাঁর এক সঙ্গী ব্যবসায়ী দুজনেই সাইকেল করে শালকুমার মোড় হয়ে সুনসুনি বাজারে নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে সঙ্গী ব্যবসায়ী হরেকৃষ্ণ সরকার সাইকেল চালিয়ে কিছুটা এগিয়ে গিয়েছিলেন। কিছুক্ষণ পরে চিৎকার শুনে হরেকৃষ্ণবাবু পিছন ফিরে দেখেন একটি ছোট গাড়িতে জোর করে তুলে নেওয়া হচ্ছে স্বপনবাবুকে। ভয়ে তিনি একটু এগিয়ে চিৎকার করে লোক ডাকেন। ততক্ষনে অপহরণকারীরা গাড়ি নিয়ে শীলতোর্সা সেতুর দিকে অন্ধকারে মিলিয়ে যায়।

Advertisement

পলাশবাড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক গোবিন্দ বিশ্বাস জানান, স্বপনবাবুর সুনসুনি বাজারে একটি চালের দোকান রয়েছে। তাছাড়া বাড়ি থেকে তিন কিলোমিটার দূরে পলাশবাড়ি বাজারেও একটি চালের গদি রয়েছে। প্রতি বুধবার হাটের সময় এই চালের গদিতে বসেন তিনি। বুধবার বাড়ি ফেরার সময় মাঝপথে তাঁকে অপহরণ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে অবশ্য মুখ খুলতে চাননি স্বপনবাবুর পরিবারের কেউ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অপহরণকারীরা স্বপনবাবুকে সম্ভবত আগে থেকেই অনুসরণ করেছিল।

২০১৬ সালের প্রথম দিকে পাটকাপড়া বাজারের শূন্যে গুলি চালিয়ে এক মুদি দোকানের মালিককে অপহরণ করা হয়েছিল। পরে তাঁকে ছাড়া হয়। তারপরে স্কুলশিক্ষক থেকে শুরু করে হাতুড়ে ডাক্তার, ব্যবসায়ী— সকলকেই অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করে ছাড়া হয়েছে বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকটি মামলায় গ্রেফতারের ঘটনাও ঘটেছে। কিন্তু বার বার অপহরণের ঘটনায় ক্ষুদ্ধ ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই। এক ব্যবসায়ীর কথায়, ‘‘পুলিশ নিরাপত্তা দিতে না পারলে ব্যবসা চলবে কী ভাবে?’’ আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার আভারু রবীন্দ্রনাথ জানান, একটি অভিযোগ পেয়েছি ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন