Suicide

Suicide: বাবা-মা মোবাইল সারিয়ে দেননি, ধূপগুড়িতে অভিমানে আত্মঘাতী দশম শ্রেণির ছাত্রী

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত পাঁচ দিন ধরে অমৃতার মোবাইল খারাপ। মোবাইলের পর্দা কোনও ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ধূপগুড়ি শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২২ ২১:০৪
Share:

অমৃতা সরকার। নিজস্ব চিত্র

খারাপ হয়ে যাওয়া মোবাইল ঠিক করে না দেওয়ায় অভিমানে আত্মঘাতী হল দশম শ্রেণির এক ছাত্রী। বৃহস্পতিবার এই ঘটনা ঘটেছে ধূপগুড়ির ডাউকিমারি এলাকায়। মৃতার নাম অমৃতা সরকার (১৪)। ডাউকিমারি ডি এন হাই স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।
ওই ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত পাঁচ দিন ধরে খারাপ অমৃতার মোবাইল। মোবাইলের ‘স্ক্রিন’ কোনও ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। জানা গিয়েছে, মোবাইলটি ঠিক করে দেওয়ার জন্য বাবা-মাকে বার বার অনুরোধ করে সে। কিন্তু অর্থের অভাবে মোবাইল ঠিক করে দিতে পারেননি অমৃতার বাবা-মা। সেই কারণেই মানসিক অবসাদে আত্মঘাতী হয় সে। এমনটাই দাবি পরিবারের সদস্যদের। বৃহস্পতিবার বাড়িতে কেউ না থাকায় সে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান।

Advertisement

অমৃতা এবং তার মা দীপালি দু’জনে মিলে সব্জির দোকান চালান পূর্ব ডাউকিমারি এলাকায়। যে সময় অমৃতা আত্মঘাতী হয় সেই সময় দীপালি দোকানে ছিলেন। তিনি বাড়ি ফিরে ঘরের মধ্যে ঝুলন্ত অবস্থায় মেয়েকে দেখতে পান। পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতাল পাঠিয়েছে।

অমৃতার বাবা হরিকৃষ্ণ পেশায় দিনমজুর। তিনি বলেন, ‘‘আমার তিনটি মেয়ের মধ্যে ছোট ছিল অমৃতা। ওর মোবাইলটা খারাপ হয়েছে। ও বার বার সেটা ঠিক করে দেওয়ার জন্য আমাকে বলেছিল। কিন্তু অর্থের অভাবে আমি তা করতে পারিনি। তাই সে মামার বাড়ি গিয়েছিল। মামাকেও মোবাইল ঠিক করে দেওয়ার কথা বলে। কিন্তু ওর মামাও ঠিক করিয়ে দেয়নি। তাই বাড়ি ফিরে অভিমানে সে আত্মহত্যা করে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন