প্রতীকী ছবি।
বাড়িতে ঢুকে স্কুল ছাত্রীর উপরে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠলো এক যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত যুবককে আটক করে গণধোলাই দেয় এলাকার বাসিন্দারা। মঙ্গলবার রাতের এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় মালদহের ইংরেজবাজার শহরের বড়ো সাঁকো এলাকায়। আক্রান্ত ছাত্রীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই হাসপাতালেই ভর্তি রয়েছে অভিযুক্ত যুবক প্রসেনজিৎ মণ্ডল। সে মোথাবাড়ির গীতা মোড়ের বাসিন্দা। প্রেম ঘটিত কারণে হামলা বলে অনুমান পুলিশের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহ শহরের একটি স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে মেয়েটি। তার বাবা প্রতিবন্ধী। মা পরিচারিকার কাজ করে সংসার চালান। দু’বোনদের মধ্যে ওই মেয়েটিই বড়ো। প্রায় দু’বছর ধরে গীতা মোড়ের বাসিন্দা প্রসেনজিৎ মণ্ডলের সঙ্গে ওই ছাত্রীটির সম্পর্ক রয়েছে। প্রসেনজিৎ এর এক আত্মীয়ের বাড়ি বড়ো সাঁকো এলাকায়। সেখানে যাতায়াতের সূত্রেই দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়। তবে সেই সম্পর্ক মেনে নেয়নি ছাত্রীটির পরিবার। সম্প্রতি মেয়ের অন্যত্র বিয়ে দেওয়ারও পরিকল্পনা নেয় পরিবারের লোকেরা। তার জেরে প্রসেনজিৎ হুমকি দেয় বলেও অভিযোগ। তবে তা আমল দেয় নি ছাত্রীর পরিবার।
এ দিন রাত সাতটা নাগাদ মেয়েটিকে ঘরে একা পেয়ে প্রসেনজিৎ ছুরি নিয়ে ঘরে ঢুকে তার পেটে আঘাত করে। ঘটনায় হইচই পড়ে যায় এলাকা জুড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা ওই যুবককে ধরে গণধোলাই দেয়। পরে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ গিয়ে অভিযুক্ত যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনাস্থল থেকে ছুরিও উদ্ধার করেছে পুলিশ। আক্রান্ত ছাত্রীটির মা বলেন, ‘‘মেয়েকে কয়েক বছর ধরে ওই ছেলে বিরক্ত করত। তাই আমরা মেয়ের বিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলাম। প্রসেনজিৎ আমাদের অন্যত্র বিয়ে দিতে মানা করে হুমকি দেয়। তবে এমন করবে ভাবতেই পারিনি।’’
এ দিকে, প্রসেনজিৎ এর এমন কাণ্ডে হতবাক তার আত্মীয় পরিজনরা। অভিযুক্ত যুবকের আত্মীয় শুভদ্রা মণ্ডল বলেন, ‘‘দু’জনের প্রেম সম্পর্ক ছিল। তবে বাড়িতে ঢুকে হামলা করবে তা কখনও ভাবতে পারিনি।’’ ইংরেজবাজারের আইসি পূর্ণেন্দু কুণ্ডু ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।