ছেলেটা বলল, তুলে নিয়ে যাব!

এমনিতে সন্ধ্যা হতে না হতেই রাস্তায় সুনসান হয়ে যায়। অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে বেশিরভাগ দিনই রাস্তায় সে অর্থে পুলিশ দেখি না। এই অবস্থায় দমকল কেন্দ্রের সামনে অটো থেকে নামার পর হেঁটে বাড়ি পৌঁছতে গিয়ে ফ্লাইওভারের সামনে মাঝে মধ্যেই আমাকে ছেলেদের ইভটিজিং-এর শিকার হতে হয়।

Advertisement

তানিয়া সিংহ

শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৫:০২
Share:

তানিয়া সিংহ

বাড়ির প্রয়োজনেই আমায় অনেক দিন ধরে কাজ করতে হয়। আগে একটা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনে কাজ করতাম। মাস ছয়-সাত হল সেই কাজ ছেড়ে বেসরকারি মোবাইল সংস্থায় কাজ শুরু করি। আমার বাড়ি অরবিন্দ নগরে। সেখান থেকে বেশ খানিকটা দূরে দেবীনগরে সংস্থার অফিস। প্রতি দিন বেলা দশটাতেই পৌঁছতে হয়। অফিস থেকে বেরোতে বেরোতে রাত সাড়ে সাতটা-আটটা বেজে যায়। অফিস যাতায়াতের পথে বাড়ি থেকে দমকল কেন্দ্র পর্যন্ত হাঁটতে হয়। আর দমকল কেন্দ্র থেকে অফিস পর্যন্ত অটো বা টোটো ভরসা। দিনের বেলায় অফিস যেতে কোনও সমস্যা হয় না। রাস্তায় প্রচুর মানুষের ভিড় থাকে। যানবাহন চলতে থাকে। কিন্তু রাতে বাড়ি ফেরার সময়ই হয় সমস্যা। বিশেষ করে দমকল কেন্দ্রের সামনে অটো থেকে নামার পর থেকেই এই সমস্যার সূত্রপাত।

Advertisement

এমনিতে সন্ধ্যা হতে না হতেই রাস্তায় সুনসান হয়ে যায়। অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে বেশিরভাগ দিনই রাস্তায় সে অর্থে পুলিশ দেখি না। এই অবস্থায় দমকল কেন্দ্রের সামনে অটো থেকে নামার পর হেঁটে বাড়ি পৌঁছতে গিয়ে ফ্লাইওভারের সামনে মাঝে মধ্যেই আমাকে ছেলেদের ইভটিজিং-এর শিকার হতে হয়। কখনও কখনও ঘুরে তাকাই। কিন্তু একা থাকায় প্রতিবাদ করার সাহস পাই না। কখনও কখনও তো এমনও হয়, দৌড়ে বাড়ি পৌঁছতে হয়। যে দিন অফিস থেকে ফেরার পথে অটো পাই না, সে দিন সমস্যা আরও বেড়ে যায়। কিছু দিন আগের একটা ঘটনার কথা ভাবলে এখনও ভয়ে শরীরে কাঁটা দিয়ে ওঠে। ওই দিন হেঁটেই বাড়ি ফিরছিলাম। মহাকাল মোড়ের কাছে আচমকাই একটি মোটর বাইক আমার সামনে দাঁড়াল। কিছু বোঝার আগেই বাইক চালক বলে উঠল, “তুলে নিয়ে যাব?” ভয়ে চিৎকার করব ভাবছিলাম। তখনই দেখলাম বাইকটি নিজে থেকেই চলে গেল। আরেকদিন তো একটি স্কুটি আমার গা ঘেষেই চলে যাচ্ছিল। আলিপুরদুয়ার আমার অত্যন্ত প্রিয়। সে কেন এমন হয়ে যাচ্ছে।

তানিয় সিংহ-চাকুরিজীবী একটি বেসরকারি মোবাইল সংস্থার কর্মী

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন