Maldah

মোটরসাইকেল কেনার টাকা দিতে না পারায় গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ

রুমালির বাপের বাড়ির অবস্থা ভাল না হওয়ায় মোটরসাইকেল কেনার টাকা দেওয়া সম্ভব হয়নি সাদিকুলকে। সম্প্রতি সাদিকুলের টাকার দাবির কথা বাপের বাড়িতে গিয়ে জানান রুমালি। কিন্তু খালি হাতেই ফিরতে হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২০ ১৯:৪৩
Share:

গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র।

মোটরসাইকেল কেনার জন্য ৭০ হাজার টাকা দিতে না পারায় ঘুমন্ত গৃহবধূর গায়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে ওই মহিলার স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকের বিরুদ্ধে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মহিলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মালদহের ইংরেজবাজারে নঘরিয়া নতুনটোলা গ্রামের ঘটনা। স্বামী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা পলাতক। তাঁদের বিরুদ্ধে ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

Advertisement

অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূর নাম রুমালি বিবি (২৮)। স্বামী সাদিকুল শেখ পেশায় শ্রমিক। গৃহবধূর বাপেরবাড়ির সদস্যরা জানিয়েছেন, ৫ বছর আগে তাঁদের সামাজিক ভাবে বিয়ে হয়। তাঁদের ২ পুত্র সন্তানও রয়েছে। সাদিকুল শ্রমিকের কাজ করে যে টাকা আয় করেন তার বেশির ভাগই মদ-জুয়ায় উড়িয়ে দেন বলে অভিযোগ। ফলে সংসারে ঠিক মতো টাকা দিতে পারেন না। এর উপর মোটরসাইকেল কেনার জন্য টাকা চাইতে আরম্ভ করেন স্ত্রীর কাছে। বাপের বাড়ি থেকে রুমালিকে সেই টাকা আনার জন্য চাপ দিতে শুরু করেন সাদিকুল।

রুমালির বাপের বাড়ির অবস্থা ভাল না হওয়ায় মোটরসাইকেল কেনার টাকা দেওয়া সম্ভব হয়নি সাদিকুলকে। সম্প্রতি সাদিকুলের টাকার দাবির কথা বাপের বাড়িতে গিয়ে জানান রুমালি। কিন্তু খালি হাতেই ফিরতে হয়। এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বচসা সোমবার রাতেও।

Advertisement

অভিযোগ, গভীর রাতে তাঁর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন সাদিকুল ও তার পরিবারের সদস্যরা। রুমালির চিৎকারে প্রতিবেশীদের ছুটে আসতে দেখেই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান অভিযুক্তরা। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় রুমালিকে উদ্ধার করে মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তার শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। রুমালির বাপের বাড়ির তরফে ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ দায়েরের পর তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: রোগীর অভিযোগেই পরিচয় ফাঁস ভুয়ো স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞের

আরও পড়ুন: রাজ্যে লোকাল ট্রেন চালু হলেও ব্রাত্য কয়েকটি লাইন, বাড়ছে ক্ষোভ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement