Cooch Behar Incident

তন্ত্রসাধনার নাম করে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ কোচবিহারে! অভিযুক্তের ফাঁসির দাবিতে দিনভর বিক্ষোভ

নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতেই অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করা হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২০:৫৮
Share:

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

তন্ত্রসাধনার নাম করে প্রতিবেশী নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল কোচবিহারের বক্সিরহাট থানা এলাকায়। বুধবার সকাল থেকে ওই এলাকায় দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায়। অভিযুক্তের ফাঁসির দাবিতে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়েরা।

Advertisement

জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত ১০টা নাগাদ গ্রামের এক মহিলা তাঁর প্রতিবেশীর বাড়িতে গিয়ে তাঁদের ১২ বছরের নাবালিকাকে ডেকে নিয়ে আসেন। জানান, তন্ত্রসাধনার জন্য নিয়ে যাচ্ছেন। এর পর ওই নাবালিকাকে একটি ঘরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। অভিযোগ, সেই ঘরে আগে থেকেই ছিলেন স্থানীয় এক যুবক। সেখানেই ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার পরই বাড়ি ছেড়ে পালান অভিযুক্ত যুবক। পরে কাঁদতে কাঁদতে ওই নাবালিকা বাড়ি ফেরে। তাকে জিজ্ঞেস করা হলে ধর্ষণের কথা জানিয়েছে বলে দাবি নির্যাতিতার পরিবারের।

নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতেই অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করা হয়। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, ওই মহিলা তন্ত্রসাধনা শিখছেন বলে দাবি করেন প্রতিবেশীদের কাছে। তন্ত্রসাধনা পরীক্ষা করার জন্য এক জন কুমারী মেয়ের প্রয়োজন। এই বলে নির্যাতিতাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। নাবালিকার মা ওই মহিলার উপর বিশ্বাস করে নাবালিকার দাদার সঙ্গে তাকে পাঠিয়ে দেয়। তবে বাড়ি পৌঁছোনোর পর নাবালিকাকে একাই একটি ঘরে নিয়ে যান ওই মহিলা। দাদাকে বাইরে বসিয়ে রাখেন। অভিযোগ, ওই ঘরের মধ্যেই নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়। পরে বোনকে কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে আসতে দেখে তার দাদা পরিবার-প্রতিবেশীদের খবর দেয়। ঘটনার পর থেকে পলাতক ওই মহিলা এবং তাঁর স্বামী।

Advertisement

ঘটনা প্রসঙ্গে তুফানগঞ্জ মহকুমা পুলিশ আধিকারিক মনোজ কুমার জানান, একটি ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ এক জনকে গ্রেফতারও করেছে। যে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই মহিলা এবং তাঁর স্বামী পলাতক। তাঁদের খোঁজ চলছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement