Cow Smuggling

খোঁয়াড়ের আড়ালেই কি গরু পাচার!

স্থানীয় সূত্রে খবর, ধৃত কমল লাইসেন্সপ্রাপ্ত খোঁয়াড়ের মালিক।কিছু খোঁয়াড়ের আড়ালে গরু পাচার হয় বলে অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিন থেকেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেখলিগঞ্জ শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২৩ ০৯:০৯
Share:

ফের গরু পাচারের জন্য গ্রেফতার ব্যক্তি। — ফাইল চিত্র।

‘অবৈধ’ ভাবে গরু রাখার অভিযোগে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ ব্লকের নিজতরফ পঞ্চায়েতের ১২৫ খড়খড়িয়া থেকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা হল এক ব্যক্তিকে। উদ্ধার করা হয়েছে ১৫টি গরু। মেখলিগঞ্জ থানার পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম কমল বর্মণ। এতে খোঁয়াড়ের আড়ালে ‘গরু পাচার’ নিয়ে শুরু হয়েছে গুঞ্জন।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, ধৃত কমল লাইসেন্সপ্রাপ্ত খোঁয়াড়ের মালিক।কিছু খোঁয়াড়ের আড়ালে গরু পাচার হয় বলে অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিন থেকেই। বাসিন্দারা জানান, প্রশাসনকে ‘ফাঁকি’ দিয়ে ভিন্‌ রাজ্য থেকে পাচারের জন্য আনা হয় গরু। সুযোগ বুঝে সেগুলি অন্য গরুর সঙ্গে রাখা হয়। এর পরে, সেগুলি পাচার করা হয় সীমান্তের অন্য পাড়ে। পাচারকারীদের ভাষায় ওই গরু ‘লাইনের মাল’ নামে পরিচিত। গরু নিয়ে যারা ছোটে, ‘পিটানি’ নামে পরিচিত। তাদের সহযোগিতা করে ‘লাইন ম্যানরা’। এরা মোবাইল হাতে নজরদারি চালায়। পরিস্থিতি সন্দেহজনক হলে খবর পৌঁছয় পাচারকারীদের কাছে।

অনেক সময়ে পাচারের সময়ে যে গরু উদ্ধার করে পুলিশ, সেগুলিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় খোঁয়াড় মালিকদের কাছে। সে গরুও ঘুরপথে পাচার হয় বলে অভিযোগ। এক-একটি খোয়াড় নিলাম হয় কয়েক লক্ষ টাকায়। প্রশাসনের একাংশের মদতে কারবার চলে বলেও অভিযোগ। পুলিশের এক আধিকারিক জানান, ভিত্তিহীন অভিযোগ।

Advertisement

কোচবিহার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মাথাভাঙা) অমিত ভার্মা বলেন, ‘‘কমল বর্মণের কাছে গরুগুলির বৈধ কাগজ ছিল না। তদন্ত হচ্ছে।’’ বিএসএফের জলপাইগুড়ি সেক্টরের এক আধিকারিকের দাবি, ‘‘খোঁয়াড়গুলির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ থাকায়, বাজেয়াপ্ত হওয়া গরু তাদের হস্তান্তর করি না। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন