মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তির কাণ্ডে উত্তাল কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ। —নিজস্ব চিত্র।
মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তির কাণ্ডে উত্তাল কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ। সোমবার মেডিক্যাল কলেজের একটি শৌচাগারে নিজেকে বন্ধ করে রাখেন ওই ব্যক্তি। শুধু তা-ই নয়, শৌচাগারের ভিতর ভাঙচুর করেন তিনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কোচবিহার কোতোয়ালি থানার আইসি-সহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, বিশাল পুলিশ বাহিনী এবং দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছোন। দেড় ঘণ্টার প্রচেষ্টায় মানসিক ভারসাম্যহীন ওই ব্যক্তিকে নিয়ন্ত্রণে আনেন তাঁরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম নবীন কোল্লু। তিনি হায়দরাবাদের বাসিন্দা। মহালয়ার রাতে কোচবিহারের রেলগুমটি এলাকায় পুলিশ সুপারের বাংলোর সামনে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করেতে দেখা যায় ওই ব্যক্তিকে। একই সঙ্গে স্থানীয়দের সঙ্গে ঝামেলাও করেন ওই ব্যক্তি। স্থানীয়েরা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তাঁকে আটক করেন। সোমবার কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজে শারীরিক পরীক্ষা করাতে নিয়ে আসা হলে, নবীন হাসপাতালের শৌচাগারে ঢুকে নিজেকে বন্ধ করে রাখেন। এর পর একটি লোহার রড দিয়ে ভিতরে ভাঙচুর চালান।
পুলিশ প্রথমে দরজা খোলার চেষ্টা করলে, নবীন তাঁর হাতে থাকা লোহার রড নিজের গলায় ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। বাধ্য হয়ে পুলিশ পিছনে সরে আসে। এর পর প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা করার পর অবশেষে দরজা খুলে ওই ব্যক্তিকে পুলিশ ধরতে সক্ষম হয়।
কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কৃষ্ণগোপাল মিনা জানান, ওই ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন। নিজেকে শৌচাগারে বন্ধ করে রাখে এবং তাঁর কাছে থাকা একটি লোহার রড দিয়ে নিজের ক্ষতি করার চেষ্টা করেন। পুলিশ তাঁকে আটক করেছে। তিনি আরও জানান, পরবর্তীতে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া হবে। এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।