Army

দুই খুদে ছাত্রীকে যৌন হেনস্থা, অভিযুক্ত জওয়ান

অভিযোগ, অভিযুক্ত ওই জওয়ানকে মারধরও করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় অনন্ত ভজন্থী নামে অভিযুক্ত জওয়ানকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেখলিগঞ্জ শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২০ ০৪:০১
Share:

—প্রতীকী চিত্র

প্রাথমিক স্কুলের দুই ছাত্রীর যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠল বিএসএফের এক কর্তব্যরত জওয়ানের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সকালে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল উত্তেজনা ছড়ায় মেখলিগঞ্জ ব্লকের সীমান্তবর্তী খড়খড়িয়া গ্রামে। অভিযোগ, অভিযুক্ত ওই জওয়ানকে মারধরও করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় অনন্ত ভজন্থী নামে অভিযুক্ত জওয়ানকে।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামেরই বাসিন্দা ওই দুই শিশু এ দিন নেতাজির জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সকাল ৮টা নাগাদ স্কুলে যাচ্ছিল। দুই শিশুর পরিবারের অভিযোগ, সীমান্তে কর্তব্যরত ওই বিএসএফ জওয়ান রাস্তা থেকে তাদের ডেকে নিয়ে যৌন হেনস্থা করে। দুই ছাত্রী ভয় পেয়ে ছুটে পালিয়ে আসে। তখন ওই জওয়ান তাদের পিছু নিয়ে স্কুল পর্যন্ত চলে আসে। বাধ্য হয়ে ওই দুই শিশু ছুটে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিষয়টি জানায়। অবস্থা বেগতিক দেখে ওই জওয়ান পালিয়ে যায়। ঘটনাটি জানাজানি হতেই গ্রামবাসীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। খবর পেয়ে বিএসএফের ১৪৮ নম্বর ব্যাটেলিয়নের কোম্পানি কম্যান্ডার এসএনকে ঠাকুর অভিযুক্ত জওয়ান অনন্তকে নিয়ে স্কুলে যান। খবর পেয়ে স্কুলে পৌঁছন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সুনীল রায়ও।

এরই মধ্যে স্থানীয় বাসিন্দারা স্কুলে এসে অভিযুক্তকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান, তার শাস্তির দাবি জানান। পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে ওঠে। তখন অভিযুক্তকে স্কুলের একটি ক্লাসঘরে বসিয়ে রাখা হয়। কিছুক্ষণ পর মেখলিগঞ্জ থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে ওই জওয়ানকে উদ্ধার করে মেখলিগঞ্জ থানায় নিয়ে আসে। তবে পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত ছিল যে, পুলিশ ওই জওয়ানকে গাড়িতে তোলার জন্য ক্লাসরুম থেকে বের করতেই বিক্ষোভকারীরা তার উপর চড়াও হন। তাকে অল্প মারধর করেন। পুলিশ ওই জওয়ানকে দ্রুত গাড়িতে তুলে থানায় নিয়ে যায়। পরে মেখলিগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করে ওই দুই ছাত্রীর পরিবার। তার ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত জওয়ানকে গ্রেফতার করে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

Advertisement

বিএসএফের কোনও আধিকারিক ঘটনাটি নিয়ে বক্তব্য দিতে চাননি। তবে স্থানীয় আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বাহিনীও বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চালাবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন