রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ। —ফাইল চিত্র।
‘রেডিয়োলজি ডায়গনস্টিক’-এর ডিপ্লোমা কোর্সের দুই ছাত্রী-সহ তিন পড়ুয়াকে হুমকি, ধাক্কাধাক্কি, মারধর করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার দুপুরে রায়গঞ্জ মেডিক্যালের এক্স-রে বিভাগে ওই ঘটনা ঘটলেও মঙ্গলবার মেডিক্যালের তরফে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
ঘটনার দিন পড়ুয়াদের একাংশ অভিযুক্তকে ধরার চেষ্টা করলেও সে পালিয়ে যায় বলে মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের দাবি। সোমবার সন্ধ্যায় ওই কোর্সের ১৪ জন পড়ুয়া মেডিক্যালের সুপারের কাছে লিখিত ভাবে ওই অভিযোগ জানান। এই পরিস্থিতিতে, মঙ্গলবার সুপার মেডিক্যালের পুলিশ ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক আধিকারিককে নিজের ঘরে ডেকে ওই অভিযোগকে কেন্দ্র করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। হাসপাতাল ভবনে ঢোকার দু’টি গেটে সর্বক্ষণ পুলিশের নজরদারি সত্ত্বেও ঘটনার দিন কী ভাবে অভিযুক্ত পালিয়ে গেল, সেই প্রশ্ন তোলেন সুপার। মেডিক্যালের তরফে পুলিশের কাছে ভিডিয়ো ফুটেজ ও ছবি পাঠানো হয়েছে। শনিবার দুপুরে মেডিক্যালের এক্স রে বিভাগে 'রেডিয়োলজি ডায়গনস্টিক'-এর ডিপ্লোমা কোর্সের দুই ছাত্রী ও এক ছাত্র রোগীদের এক্সরে করার প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাস করছিলেন। অভিযোগ, সেই সময়ে, ওই ব্যক্তি মেডিক্যালের চিকিৎসকের লিখিত পরামর্শ ও নথি ছাড়াই এক্সরে করার নাম করে ওই বিভাগে ঢুকে পড়ে। ওই তিন পড়ুয়া প্রতিবাদ করলে ওই ব্যক্তি তাদের হুমকি, ধাক্কাধাক্কি ও মারধরের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। সুপার প্রিয়ঙ্কর রায় এই দিন বলেন, “পুলিশকে দ্রুত অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে গ্রেফতারের দাবি করা হয়েছে।” পুলিশ জানায়, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।” মেডিক্যালে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে