নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করলেন মান্নান

এ দিন সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করতে গেলে গেটের বাইরে মোতায়েন থাকা পুলিশ কর্মীরা প্রথমে তাঁদের ঢুকতে দেয়নি বলে অভিযোগ। পরে অবশ্য তাঁদের দেখা করতে দেওয়া হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:১৫
Share:

আব্দুল মান্নান।—ফাইল চিত্র।

সিপিএম সাংসদ সেলিমকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। তবে রবিবার সকালে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে কুশমণ্ডির নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করলেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরি (ডালু), প্রাক্তন সাংসদ সোমেন মিত্র ও বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন। গণধর্ষণ কাণ্ডে এ দিন মুখ্যমন্ত্রী বিরুদ্ধেই তোপ দেগেছেন মান্নান সাহেব। তাঁর অভিযোগ, এই গণধর্ষণের ঘটনার প্রকৃত সত্যকে আড়াল করা চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। লোক দেখানো ভর্ত্সনা করলেও এখনও পর্যন্ত পুলিশের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।

Advertisement

১৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ইটাহারে শিবরাত্রি মেলায় গণধর্ষণের শিকার হন ওই আদিবাসী যুবতী। তাঁর যৌনাঙ্গে ধাতব কিছু দিয়ে আঘাতও করা হয়েছিল। সেই অবস্থাতে তিনি পরেরদিন বিকেল অবধি মাঠে পড়েছিলেন। এখনও মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি রেখে তাঁর চিকিত্সা চলছে। গত ২০ তারিখ জেলা সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করেন। একদিন পর রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ও দেখা করেন। কিন্তু তারপর আর কোনও জনপ্রতিনিধিকে নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করতে দেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার কুশমণ্ডির বাম বিধায়ক নর্মদা রায়কে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। শনিবার সাংসদ সেলিমকেও দেখা করতে দেওয়া হয়নি।

এ দিন সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করতে গেলে গেটের বাইরে মোতায়েন থাকা পুলিশ কর্মীরা প্রথমে তাঁদের ঢুকতে দেয়নি বলে অভিযোগ। পরে অবশ্য তাঁদের দেখা করতে দেওয়া হয়। ফিরে এসে মান্নান সাহেব বলেন, ‘‘নির্যাতিতা এখনও সুস্থ নয়। ঘোরে রয়েছেন, সামান্য কথা বলছেন। তাঁর কাছ থেকে যেটুকু জানলাম, তাতে পুলিশ এখনও তাঁর কাছ থেকে ওই ঘটনার সম্পর্কে কোনও কিছু জানতেই চায়নি।’’

Advertisement

কুশমণ্ডিতে এই গণধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্য জুড়ে আন্দোলন গড়ে তোলার ডাক দিয়েছে সাঁওতাল সম্প্রদায়ের সর্বোচ্চ সামাজিক সংগঠন ‘ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল’। আদিবাসী সাংসদ ও বিধায়করা ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বিধানসভায় ঘটনার প্রতিবাদ না জানালে আদিবাসী এলাকায় তাঁদের যেন ঢুকতে না দেওয়া হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement