পুলিশের অনুপস্থিতিই দুর্ঘটনার কারণ, অভিযোগ মালবাজারে

শহরে দ্রুতগতির মোটরবাইক আর ছোট গাড়ির জন্য প্রতি নিয়ত সমস্যায় পড়তে হলেও পুলিশি নজরদারি নেই বলে অভিযোগ মালবাজারের বাসিন্দাদের। মোটরবাইক এবং ছোট গাড়ির দুর্ঘটনা সড়কেই থেমে থাকছে না, রাস্তার পাশের দোকান বা বাড়ি ভেঙেও ঢুকে পড়ছে গাড়ি। শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলিতে ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন থাকলেও পুর এলাকায় কার্যত ট্রাফিক পুলিশের দেখা মেলাই দুষ্কর বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালবাজার শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০১৫ ০২:১৯
Share:

শহরে দ্রুতগতির মোটরবাইক আর ছোট গাড়ির জন্য প্রতি নিয়ত সমস্যায় পড়তে হলেও পুলিশি নজরদারি নেই বলে অভিযোগ মালবাজারের বাসিন্দাদের। মোটরবাইক এবং ছোট গাড়ির দুর্ঘটনা সড়কেই থেমে থাকছে না, রাস্তার পাশের দোকান বা বাড়ি ভেঙেও ঢুকে পড়ছে গাড়ি। শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলিতে ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন থাকলেও পুর এলাকায় কার্যত ট্রাফিক পুলিশের দেখা মেলাই দুষ্কর বলে অভিযোগ। গত মঙ্গলবার মালবাজার পুরএলাকার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তরকলোনি এলাকায় একটি ছোট গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার বাঁ দিকে নেমে এসে একটি মোমোর দোকান ঘরে সজোরে ধাক্কা মারে। মোমোর দোকানের মালিক নিশা কেউট সে সময় দোকানের ভেতরে বসে মোমো তৈরি করছিলেন। আচমকাই দোকানে গাড়ি ঢুকে পড়লে কোনও রকমে প্রাণে বাঁচেন তিনি। দোকানটির কাঠের পাল্লা, দেওয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গত বছর মালবাজারের ক্যালটেক্স মোড়ে একই রকম ভাবে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের একটি বাঁকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এটিএম কাউন্টার গুঁড়িয়ে দেয় একটি পণ্যবাহী ট্রাক। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পাগলাঝোরাতে ছোটগাড়ি পড়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটে। গত রবিবারেই মালবাজারের ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপরে গুরুত্বপূর্ণ সত্যনারায়ণ মোড়ে দু’টি বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক জন বাইক চালক গুরুতর জখম হন।

Advertisement

একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটার জন্য পুলিশি নিষ্ক্রয়তাই প্রধান সমস্যা বলে পথচারীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠলেও পুলিশ সে অভিযোগ মানতে নারাজ। মালবাজারের এসডিপিও নিমা নরবু ভুটিয়ার কথায়, ‘‘মালবাজারে দ্রুতগতির গাড়ি বা মোটরবাইক ছোটানো রুখতে সিভিক ভলান্টিয়ারদের শহরের বিভিন্ন এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে। সার্বিক পুলিশি নজরদারিও রয়েছে।’’ তবে পুলিশের দাবি কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন মালবাজারের ব্যবসায়ীরা।

শহরের এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘ক্যালটেক্স মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের পয়েন্ট থাকলেও সেখানে কোনও দিনই পুলিশ থাকে না। কার্যত প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই আদর্শ বিদ্যাভবন, সুভাষিণী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের মত গুরুত্বপূর্ণ মোড় গুলিতে পড়ুয়াদের রাস্তা পেরোতে হয়।’’ মালবাজারের ব্যবসায়ী সংগঠন মার্চেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তা মোহিত শিকদার বলেন, ‘‘পুর এলাকার রাস্তা চওড়া তো হয়ইনি, উল্টে যানবাহন কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে। তাই পুলিশের নজরদারি না বাড়ালে দুর্ঘটনার হাত থেকে রেহাই মিলবে না।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন