নাবালিকার রহস্য মৃত্যুতে তার স্বামীকে গ্রেফতার করল পুলিশ৷ শনিবার স্বপন রায় নামের ওই যুবককে গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাকে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন৷
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৬ বছরের লিপিকা আত্মহত্যা করেছে বলে জেরায় জানিয়েছে অভিযুক্ত৷ স্বপনের দাবি, দুপুরে খাওয়া-দাওয়া করে টিভি দেখতে দেখতে সে ঘুমিয়ে পড়ে৷ সেই সময় পাশের ঘরে গিয়ে গলায় শাড়ি জড়িয়ে আত্মহত্যা করে লিপিকা৷ তার মায়ের সঙ্গে গোলমালেই লিপিকা আত্মহত্যা করে বলে স্বপনের দাবি।
পয়লা ফেব্রুয়ারি বেলাকোবার রাঙ্গারবাড়ির বাসিন্দা নবম শ্রেণির ছাত্রী লিপিকা রায় বামনপাড়ার বাসিন্দা স্বপনের সঙ্গে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়৷ কিছুদিন পর দুজনেই স্বপনের বাড়িতে ফিরে আসে৷ গত ৯ মার্চ তাদের বিয়ে হয়৷ লিপিকার বাড়ির লোকেদের অভিযোগ, এরপরেই পণের জন্য তার ওপর অত্যাচার শুরু করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
গত বৃহস্পতিবার ওই নাবালিকার বাড়ির লোকজন আচমকাই খবর পান তাদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছে৷ শুক্রবার জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত খুনের অভিযোগ দায়ের করেন লিপিকার বাবা-মা। ওইদিনই পুলিশ স্বপনকে আটক করে৷ বাকিরা পালিয়ে যায়। এ দিন সকালে স্বপনকে গ্রেফতার করা হয়৷
স্বপনের হয়ে এ দিন কোনও আইনজীবী সওয়াল করেননি৷ সরকার পক্ষের আইনজীবী সিন্ধুকুমার রায় জানান, ৩০৪(বি) ও ৪৯৮(এ) ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে৷ আদালত তাকে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। স্বপনের বাড়ির লোকেদের খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।